স্পন্সরড এলার্ম



আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব কয়েকটি অপরূপ সুন্দর ও বিখ্যাত ফুলের সাথে। যা অন্নান্য ফুল হতে নিজ বৈশিষ্টে আলাদা এক পরিচয় তুলে ধরেছে।
The Rainbow Roses: Roses for you:
রঙধনুর সাতটি রঙই বিদ্যমান এই গোলাপটিতে যার the Rainbow Roses। ২০০৫ সালে Dutch flower company-র মালিক Peter Van De Werken নতুন এই গোলাপটি উদ্ভাবন করেন। প্রাথমিক অবস্থায় তিনি কৃত্রিম রং দিয়ে এই গোলাপ উদ্ভাবন করলেও ধীরে ধীরে তিনি গাছেই ফুটাতে সক্ষম হন এই গোলাপ। প্রাথমিক অবস্থায় গোলাপের কলি ফোঁটার সময় তিনি আলাদা করে প্রতিটি পাপড়িতে রঙ দেয়া শুরু করেন। আস্তে আস্তে পাপড়ি গুলো মেলে যাওয়ার পর তা অপূর্ব রঙধনুর রঙে ফুটে উঠে।
Amorphophallus Titanum:
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফুলটির নাম Amorphophallus titanum। এরা titan arum নামেও পরিচিত। এদের বেশির ভাগ পাওয়া যায় সুমাত্রা দ্বীপের রেইন ফরেস্ট এবং চুনাপাথরের পাহাড়গুলিতে। ইন্দোনেশিয়ায় এই ফুলটি bunga bangkai নামেই বেশি পরিচিত। এদের আকৃতি হয় সর্বোচ্চ ৩ মিটার পর্যন্ত। এর একেকটি ফুলের ভর হয় ৫০ থেকে ৬০ কেজি। এর একটি পাপড়ি মরে গেলেও সেখানে আরেকটি নতুন পাপড়ি জন্ম নেয়। সবচেয়ে বড় কথা এই ফুল পচা মাংসের গন্ধ ছড়ায়।
এটি পৃথিবীর বৃহত্তম ফুল, এর ব্যাস ৯০ সে.মি. এবং এর গড় ওজন ১০ কেজি। এটি পাওয়া যায় মুলত মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন্স এবং থাইল্যান্ডে। এটি দেখতে মোটামুটি হলেও এর গন্ধ পঁচা মাংসের মতো।
Osiria Rose:
সুন্দর এই গোলাপ ফুলটির নাম Osiria। লাল সাদা রঙের এই গোলাপটি উদ্ভাবন করেছিলেন জার্মানির Reimer Kordes ১৯৭৮ সালে। অত্যন্ত সুগন্ধি এই গোলাপ ফুলের বৈশিষ্ট্য এর একেকটি পাপড়ির দৈর্ঘ্য ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি। দামও কমনা! একেকটি গোলাপের দাম ১৭.৯৫ মার্কিন ডলার।
সুন্দর এই গোলাপ ফুলটির নাম Osiria। লাল সাদা রঙের এই গোলাপটি উদ্ভাবন করেছিলেন জার্মানির Reimer Kordes ১৯৭৮ সালে। অত্যন্ত সুগন্ধি এই গোলাপ ফুলের বৈশিষ্ট্য এর একেকটি পাপড়ির দৈর্ঘ্য ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি। দামও কমনা! একেকটি গোলাপের দাম ১৭.৯৫ মার্কিন ডলার।
তোতাপাখি ফুল
প্রকৃতি না জানি আমাদের জন্য কত রকম অদ্ভুদ জিনিষের ভান্ডার লুকিয়ে রেখেছে। যেমন, এই সুন্দর ফুলটির কথাই ধরা যাক। দেখতে একদম তোতা পাখির মত। আর এর আকার আকৃতির সাথে মিল রেখে এই ফুলের নাম দেওয়া হয়েছে “তোতাপাখি ফুল”। এই ফুল গুলিকে খুঁজে পাওয়া যায় থাইল্যান্ড এবং ইন্ডিয়ার উত্তরের বনাঞ্চলে। এছাড়াও বার্মায় বিপুল সংখ্যায় এই ফুলের খোঁজ মেলে।
এই ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম “Impatiens Psittacina Hook.f”। এই ফুল প্রথম আবিস্কার হয় বার্মার শান নামক অঞ্চলে আর আবিস্কার করেন “এ, এইচ, হিল্ডাব্রান্ড”। আবিস্কারের পরেই কিন্তু এই ফুলের অস্তিত্ত সম্পর্কে সবাইকে জানানো হয় নাই। ১৮৯৯ সালে প্রথমে এই ফুলের বীজ সংগ্রহ করে তা পাঠিয়ে দেওয়া হয় “রয়্যাল গার্ডেন” এ, তারপর এই রয়্যাল গার্ডেনেই ১৯০০ সালে প্রথম ফুল ফোটে। বলতে পারেন মানুষের পর্যবেক্ষনে প্রথম এই ফুল ফুটানো হয়। কেননা এই ফুল এর আগে সবার অগোচরে বনাঞ্চলেই ফুটতো। এরপর ১৯০১ সালে উদ্ভিদ বিজ্ঞানী “জোসেফ ড্যালটন হুকার” সর্বপ্রথম এই ফুলের অস্তিত্ত সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে অবিহত করেন।
এই তোতাপাখি ফুলের গাছ উচ্চতায় প্রায় ৬ ফুটের মত হয়। আর এর পাতা লম্বায় ৬ সেঃমিঃ এর মত হয়ে থাকে। আর ফুল প্রায় ৫ সেঃমিঃ এর মত হয়ে থাকে। এই ফুল সাধারনত অক্টোবার থেকে নভেম্বরের মধ্যে ফোটে। এই তোতাপাখি ফুলের গাছ সব জায়গায় জন্মাতে পারে না, কেননা এরা পরিবেশ দ্বারা অনেক বেশী প্রভাবিত হয়। সাধারনত সমূদ্র সৈকত অঞ্চলে যেখানে বাতাসের আদ্রতা অনেক বেশী সেই সকল জায়গায় বেশী জন্মায়। আর এই ফুলের রঙ হাল্কা বেগুনী এবং গাঢ় লাল রঙের হয়। আর এই দু’টি রঙকে মাঝখানের সাদা রঙ আলাদা করে রেখেছে।

র্যাফেলসিয়া
পৃথিবীর সব থেকে বড় ফুলের নাম “র্যাফেলসিয়া আর্নল্ডি”। এই ফুলের খোঁজ পাওয়া যায় ইন্দোনেশিয়ার রেইন ফরেষ্টে। এই ফুলের ব্যাস ৩ ফুট পর্যন্ত হয় আর একটি ফুলের ওজন ১৫ পাউন্ড পর্যন্ত হতে পারে। এই ফুলের গাছে পরজীবি, অর্থাৎ এই ফুলের গাছ অন্য গাছের উপর জন্ম নেয় এবং সেই গাছের উপর নির্ভর করে পানি এবং খাদ্যের জন্য। এই ফুলের গাছের কোন পাতা, মূল বা কোন প্রকার কান্ড নেই বললেই চলে। যখন এই ফুল ফোটে তখন খুবই দূর্গন্ধো ছড়ায় অনেকটা মাংস পচা গন্ধো। এই গন্ধে বিভিন্ন প্রকার কীটপতঙ্গ আকৃষ্ট হয় এবং তাদের মাধমে এই ফুলের পরাগায়ন হয় এবং এরা বংশ বৃদ্ধি করে।
(5559)