স্পন্সরড এলার্ম


এলিয়েন (Alien) সম্পর্কে আমাদের জানার আগ্রহের কোন কমতি নেই। অনেকেই বিশ্বাস করেন এলিয়েন আছে অনেকেই বলেন এসব মিথ্যে। কিন্তু মনে মনে হয়ত আমরা সবাই কিছুটা হলেও এলিয়েনের অস্থিত্বে বিশ্বাস করি এবং এ বিষয়ে বেশ কৌতুহলি। এলিয়েনের অস্থিত্বে বিভিন্ন প্রমাণ মিললেও তা পাকাপোক্ত নয় তাই আমরা এলিয়েনের অস্থিত্ব সম্পর্কে অফিসিয়াল কোন বানী পাইনি। কিন্তু এত বড় মহাবিশ্বে পৃথিবী ছাড়াও অন্য কোন জায়গায় এলিয়েন থাকাটাই স্বাভাবিক।
এলিয়েন কি?
এলিয়েন সম্পর্কে বলার আগে এলিয়েন সম্পর্কে কিছু ব্যাপার পরিষ্কার করে নেই। এলিয়েন বলতে এমন জীবকে বোঝায় যাদের উদ্ভব পৃথিবীর বাইরে মহাবিশ্বের অন্যকোথাও হয়েছে এবং তারা সেখানেই বসবাস করে। এলিয়েন দেখতে কেমন হবে তার কোন ঠিক নেই।তারা দেখতে পৃথিবীর প্রাণীদের কাছাকাছিও হতে পারে আবার আমাদের ধারনা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হতে পারে।মোট কথা এলিয়েনের আকার আকৃতি নিয়ে মানব জাতীর পাকাপোক্ত কোন ধারনা নেই।
এলিয়েনের প্রকারভেদ
একটু আগেই বললাম এলিয়েন এর আকার আকৃতি সম্পর্কে মানব জাতীর কোন ধারনা নেই। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ দাবী করেন তারা এলিয়েন দেখেছেন। তাদের বর্নণা থেকে এলিয়েনের বিভিন্ন প্রকারভেদ তৈরী করা হয়েছে। সাধারনত এদের গঠন দিয়েই এদেরকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মৌলিক ভাগগুলো হলঃ গ্রে এলিয়েন, দ্য র্যাপ্টিলিয়ানস ও হিউম্যান টাইপ এছাড়াও এদেরকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
গ্রে এলিয়েন
এই টাইপের বিভিন্ন এলিয়েন পাওয়া যায়। এদের রংয়ে ধূষরের আধিক্ক থাকে বলে এদেরকে গ্রে এলিয়েন বলা হয়। এদের উচ্চতা ৩.৫ থেকে ছয় ফিট। এদের আছে বড় বড় দিম্বাকৃতির গাঢ় কালো চোখ। এদের আবেগ অনুভুতি নেই বললেই চলে।
দ্য র্যপ্টিলিয়ানস
তিব্বতের একটি উপজাতীদের পূর্বপুরুষরা নাকি তারা(star) থেকে এসেছিল। উপজাতিটির নাম র্যাপটলিয়াডস। র্যাপ্টিলিয়ানসরা মানুষের আকারের প্রায় দ্বিগুন ছিল। এদের মস্তিষ্ক ছিল অনেক বড়। ফলে মাথার পেছনের দিকটা ছিল অনেক লম্বা। তাদের ওজনও ছিল প্রচুর প্রায় ২০০ কেজির মত।
হিউম্যান টাইপ
এরা দেখতে প্রায় মানুষের মত। মানুষের সাথে এদের পার্থক্য হল এদের মোটা লম্বা চুল এবং ফর্সা ত্বক। এরা লম্বায় ১.৭-২ মিটার লম্বা হয়ে থাকে। এদের গ্রহে অক্সিজেন অত্যন্ত অল্প তাই এদের কপার ভিত্তিক রক্ত রয়েছে যা তাদেরকে বেশি অক্সিজেন ধারনে সাহায্য করে। অতি বেগুনী রশ্মিতেও এরা দেখতে পায়। এরাই একমাত্র প্রজাতী যারা মানুষের ক্ষতি করতে নয় আমাদের সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হতে আসে। Nordics-দের সাথে নাকি এদের সংঘর্স হয়েছে। মানুষের সাথে এদের মিলের কারনে অনেকে ধারনা করেন এরা মানুষের আত্বীয় যারা পূর্বে এ গ্রহ ছেড়ে চলে গেছে। কোন ছবি খুজে পেলাম না, দয়া করে আয়না দেখে নিন।
আরও কিছু কথা লিখলাম না এখান থেকে দেখে নিন আরও আগ্রহ থাকলে
প্রমাণঃ এতক্ষন ধরে বকবক করলাম। ছোটখাট কিছু প্রমাণ না দিলে আপনারা বলবেন গাজাখুরি গল্প করেছি। তাই যা প্রমাণ পেলাম তাই তুলে ধরলামঃ
৬২ জন স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের প্রত্যক্ষ দর্শনঃ ১৯৯৪ সালের সেপটেম্বর মাসে জিমবাবুয়ের একটি প্রাইমারী স্কুলের ৬২ জন শিক্ষার্থী ভীনগ্রহীদের সাথে মুখুমুখি হন। তারা প্রত্যেকে একই ঘটনা বর্ণনা করেছেন। এমনকি আজ পর্যন্ত তাদেরকে এলিয়েনের ছবি আঁকতে বলা হলে তারা একই রকমের ছবি আঁকে। স্থানীয় একটি টিভি চ্যালেল এনিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরী করেছে। ভিডিওটি পাবেন এখানে
অ’হের বিমানবন্দরঃ বেশিদিন আগে নয়। ২০০৬ সালের ৭ নভেম্বর, সিকাগোতে অ’হের বিমানবন্দরের ১২ জন কর্মচারি বলেন যে তারা রানওয়ের সামান্য উপরে চাকতি আকৃতির বিশাল কোন বস্তুকে ঘুরপাক খেতে দেখেছেন।
অবশেষে
এলিয়েন থাকুক আর নাই থাকুক এটা নিয়ে আমাদের কৌতুহল কোনদিন কমবে না। কিন্তু বুদ্ধিমান এলিয়েন থাকা আমাদের জন্য ক্ষতিকর। এবিষয়ে বিজ্ঞানি স্টিফেন হকিন্স বলেছেন, “মহাবিশ্ব অনেক বড়। এর কোথাও না কোথাও প্রাণের অস্থীত্ব থাকবে। আর এ প্রাণ যদি প্রযুক্তিতে আমাদের চেয়ে এগিয়ে থাকে তাহলে আমাদের জন্য তা অমঙ্গলকর হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি, যেমনটা হয়েছিল ক্রিস্টোফাসের আমেরিকা আবিষ্কারের পর রেড-ইন্ডিয়ান্দের অবস্থা।” সুতরাং পৃথিবীর বাইরে বুদ্ধিমান প্রাণের অস্থিত্ব না থাকাটাই আমাদের জন্য ভাল।
(1844)