স্পন্সরড এলার্ম



মহাজাগতিক বিস্ফোরণ বা সুপারনোভার রহস্যাবৃত সৌন্দর্য উন্মোচনের জন্য বিজ্ঞানীরা অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এবার নাসা তার শক্তিশালী টেলিস্কোপের মাধ্যমে এই মহাজাগতিক বিস্ফোরণের মূল বিষয়গুলো অনুসন্ধানের চেষ্টা শুরু করেছে। এই টেলিস্কোপের নাম The Nuclear Spectroscopic Telescope Array বা NuSTAR ।

এ টেলিস্কোপের কিছু পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে, কোনো নক্ষত্র বিস্ফোরিত হওয়ার ঠিক পূর্ব মূহূর্তে এর ভেতরে তেজস্ক্রিয় গ্যাস ও পদার্থগুলো জমা হতে শুরু করে। ঠিক যেমন পানি ফুটতে শুরু করলে যেমন বুদবুদ জমা হতে থাকে সেরকম। নাসা ও ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির গবেষকরা মিলে এবার Cassiopeia A নামে একটি নক্ষত্রের উপর তাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন। এ নক্ষত্রটি আজ থেকে ১১ হাজার বছর আগে বিস্ফোরণের মাধ্যমে সুপারনোভাতে পরিণত হয়। এর আগে বিজ্ঞানীরা ধরতে পারছিলেন না, কেন কম্পিউটারে সিমুলেশনে তৈরি সুপারনোভার সাথে বাস্তবের সুপারনোভা বিস্ফোরণের কিছুটা পার্থক্য আছে। পরে দেখা গেল, টাইটেনিয়াম-৪৪ এ পার্থক্যের জন্য দায়ী। আর এটাই ধরা পড়ে NuSTAR টেলিস্কোপের লেন্সে। ২০১২ সালে এ টেলিস্কোপটি তার কাজ শুরু করার পর থেকে এটাই তার সবচেয়ে বড় আবিষ্কার। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন যে, অচিরেই সুপারনোভা বিস্ফোরণের রহস্য উন্মোচন করা যাবে, যেটা কিনা মহাবিশ্বে প্রাণের স্পন্দন সৃষ্টির জন্য দায়ী।
(1775)