স্পন্সরড এলার্ম


বাংলাদেশ থেকে সফটওয়্যার ও সেবা রফতানির সমস্যা ও সমাধান খোঁজার জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করতে যাচ্ছে সরকার। মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এই বিষয়ে নিজের সম্মতির কথা জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ। এ জন্য সফটওয়্যার খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তি, ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ ও সরকারের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি ছোট আকারের উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হবে।
আগামী তিন মাসের মধ্যে টাস্কফোর্সটি আত্মপ্রকাশ করবে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি মোস্তাফা জব্বার এ বিষয়ে নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশের জন্য ১৯৯৭ সালে আমি ৪৫ দফার একটি প্রস্তাব করেছিলাম। এর মধ্যে কম্পিউটারের ওপর শুল্ক প্রত্যাহারসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত কার্যকর হলেও সফটওয়্যার খাতের জন্য তেমন কোনো বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়নি। সফটওয়্যারে মতো সম্ভাবনাময় ‘মেধাস্বত্ব’ খাতটি গুরুত্ব পায়নি। এমন পরিস্থিতিতে আজ বাংলাদেশ থেকে সফটওয়্যার ও সেবা রফতানির সমস্যা ও সমাধান খোঁজার জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠনে বাণিজ্যমন্ত্রী সম্মত হলেন। আরেকটি জেআরসি কমিটি আশা করছি আমরা।”
সফটওয়্যার খাতের বিদ্যমান প্রবৃদ্ধির হারের বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, সফটওয়্যার রফতানি করে বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য পূরণ করতে হলে পরিকল্পিতভাবে মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে। একই সঙ্গে অবকাঠামো-সুবিধা এবং ভাবমূর্তি গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।
একই বিষয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি শামীম আহমেদ নতুন বার্তা ডটকমকে জানান, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে অন্য একটি বৈঠকেও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ছোট পরিসরে একটি উপদেষ্টা কমিটি করে সফটওয়্যার খাতের বিকাশ ও রফতানি ত্বরান্বিত করার বিষয়ে সরকারের ইতিবাচক ভূমিকার কথা জানিয়েছেন।
সফটওয়্যার খাতের উন্নয়নের জন্য সরকারের করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে শামীম আহসান বলেন, ‘এ জন্য ইপিবি ও আইপিবিসিকে এগিয়ে আসতে হবে। সফটওয়্যার ও বিপিও-সেবা খাতের বিকাশে তহবিল বাড়ানোর পাশাপাশি প্রণোদনা প্যাকেজ চালু করা যেতে পারে। গত তিন মাসের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশ যে আবার ইতিবাচক পথে ফিরে এসেছে, সে বিষয়ে পর্যাপ্ত প্রচার করা দরকার।” (1188)