স্পন্সরড এলার্ম


স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে না এমন সংখ্যা খুব কম।
ইন্টারনেট ছাড়া স্মার্টফোন ব্যবহারের মজা নেই বললেই চলে। যদিও ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য অধিক মাত্রায় অর্থ ব্যয় হয় গ্রাহকদের। এজন্য যখন কোথাও ফ্রি ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা পান তখনই সেটার ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে ব্যবহারকারীরা।
ইদানিং কফি শপ, হোটেল, শপিং মলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহারের সুবিধা থাকে। এমন কি আপনি নিজের ঘরে বসেও অনেক সময় ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহারের নোটিফিকেশন পাবেন। তখন যে কেউই খুশি মনে সেই ওয়াইফাই কানেক্ট করে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।
কিন্তু আপনি যে ওয়াইফাই ডিভাইস কানেক্ট করছেন সেটা আপনার জন্য ততটুকু নিরাপদ? কানেক্ট হওয়া ওয়াইফাই কেঁড়ে নিতে পারে আপনার গোপন তথ্য। এটা হতে পারে হ্যাকারদের পাতা ফাঁদ।
বেশিরভাগ ওয়াইফাই ডিভাইসগুলোই আপনার দেয়া তথ্য এনক্রিপ্ট না করেই ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়। ফলে এগুলো অনিরাপদ বলে বিবেচিত হয়। তাই ফ্রি এবং ওপেন ওয়াইফাই ব্যবহারের সময় কিছু বিষয়ে সচেতন থাকলে নিজের ডিভাইস বা তথ্য নিরাপদে রাখা সম্ভব।
# ওয়াইফাই কানেক্ট হবার আগে সেই হটস্পট বা ডিভাইসের সিকিউরিটি প্রিকশনগুলো পড়ে দেখুন, বুঝতে চেষ্টা করুন, এটা আপনার ডিভাইসের জন্য নিরাপদ কী না। অর্থাৎ ওপেন বা ফ্রি ওয়াইফাই দেখলেই কানেক্ট না করে আগে ভাবুন।
# আপনার ডিভাইসের সিকিউরিটি সফটওয়্যারগুলো সবসময় আপডেটেড রাখুন। লেটেষ্ট অপারেটিং সিস্টেম, ব্রাউজার এবং অ্যাপস ব্যবহার করলে ডিভাইস নিরাপদ থাকবে।
# মনে রাখবেন, বেশিরভাগ ওয়াইফাই কানেকশনই আনপ্রোটেক্টেড, আপনার দেয়া ইনফরমেশনগুলো এনক্রিপ্ট না করেই সেগুলো ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া হয়। ফলে খুব সহজেই আপনার ফেসবুক কিংবা অনলাইন ব্যাংক একাউন্ট হ্যাক হয়ে যেতে পারে।
# অনলাইন ব্যাংক একাউন্ট, শপিং, সোসিয়াল নেটওয়ার্কিং কিংবা ই-কমার্সের মতো গুরুত্বপূর্ণ সাইটগুলোতে ব্রাউজ করার সময় এনক্রিপ্টেড ওয়েব ইউআরএল ব্যবহার করুন। ওয়েব এড্রেস-এর আগে ‘https://’ থাকলে বুঝতে পারবেন সেটা এনক্রিপ্টেড ওয়েব ইউআরএল।
# যে হটস্পটগুলোর বানান ভুল কিংবা অবৈধ মনে হয় সেগুলো এড়িয়ে চলুন। অনেক সময় হ্যাকাররা ফ্রি ওয়াইফাই হটস্পট খুলে রাখে, ডিভাইসের সাথে কানেক্ট হওয়ার সাথে সাথে ব্যবহারকারীর সকল তথ্য সহজেই হ্যাকাররা পেয়ে যায়।
# ওয়াইফাই কানেক্টেড হবার পর সফটওয়্যার আপডেট চাইলে সেটা আপডেট না দেয়াই ভাল। অনেক সময় এ প্রক্রিয়ায় হ্যাকাররা ম্যালওয়্যারের সংক্রমণ ঘটায়।
# মনে রাখবেন, আনসিকিউরড ওয়াইফাই কানেকশনের চেয়ে 3G কিংবা 4G কানেকশন অনেক বেশি নিরাপদ।
# কম্পিউটার কিংবা অন্য যে কোনো ডিভাইসে অটোমেটিক্যালি গেট কানেক্টেড ফিচারটি অফ করে রাখুন।
# দরকার ছাড়া ব্লুটুথ অন করে রাখবেন না।
সূএ : http://ukbdnews.com (2076)