স্পন্সরড এলার্ম


প্রথমত বলে রাখি, এটা আমার নিজস্ব চিন্তাধারার আলোকে লিখা। বাজার ঘুরে এবং স্মার্টফোনের স্পেসিফিকেশন দেখে আমার যা অভিজ্ঞতা হয়েছে তার আলোকে আমার এই পোস্ট। কোন বিশেষ গ্রুপ কে খুশি করা অথবা কারো বিরুদ্ধে কিছু বলা আমার উদ্দেশ্য নয়। আমি আশা রাখি, আপনারা যারা স্মার্টফোন ক্রয় করতে চান তারা একটু হলেও উপকার পাবেন আমার এই লেখা পড়ে।
প্রিয় টেকে দাম অনুসারে বাজারে পাওয়া স্মার্টফোনগুলোর তালিকা তৈরি করা হয়েছে। যা নিঃসন্দেহে একটি ভাল উদ্যোগ। নিচের লিংক দেখুনঃ
#১০ হাজার টাকার ভেতর স্মার্টফোনের তালিকা
# ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা মূল্যের স্মার্টফোনের তালিকা
# ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা মূল্যের স্মার্টফোনের তালিকা
# ৩০ হাজার টাকার অধিক মূল্যের স্মার্টফোনের তালিকা
স্মার্টফোন কেনার আগে আমরা কি চিন্তা করি? যাদের টেকনিক্যাল জ্ঞান রয়েছে তারা ইন্টারনেটে ঘেঁটে অনেক কিছু বের করে ফেলতে পারেন। তারপর পছন্দ মত ডিভাইস ক্রয় করেন। অন্যদিকে যাদের হাতে সময়ে স্বল্পতা এবং স্মার্টফোনের টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে ভাল ধারনা রাখেন না তাদের ক্ষেত্রে যেটা সবচেয়ে বেশি হয়: ১। দোকানে গিয়ে বিক্রেতার পছন্দ অনুযায়ী ডিভাইস কিনেন, ২। লো কনফিগারেশনের সেট বেশি দাম দিয়ে কিনেন, যেখানে একই দামে ভাল কনফিগারেশনের সেট পাওয়া যায়। ৩। বেশি দাম দিয়ে বিখ্যাত ব্র্যান্ডের সেট কিনে থাকেন, যেখানে সেই দামে আরও ভাল কনফিগারেশনের সেট পাওয়া সম্ভব।
একটি স্মার্টফোন কেনার আগে যে প্রধান বিষয়গুলো মাথায় রাখবেনঃ
১। প্রসেসর এবং র্যাম কত (যদি স্মুথ পারফরমেন্স চান)
২। ক্যামেরা রেজ্যুলুশন (যদি ভাল ছবি আশা করেন)
৩। উন্নত টাচ কোয়ালিটি (স্মার্টফোন আরাম করে ব্যবহারের জন্য এটি আবশ্যক)
৪। তার পর দেখবেন সেটের জিপিউ এবং ব্যটারি ব্যাকআপ টাইম
বাজারে প্রচুর স্মার্টফোন পাওয়া যায়। আপনার বাজেটের উপর নির্ভর করে আপনি কত ভাল কনফিগারেশনের সেট পাবেন। আপনার যদি বিখ্যাত ব্র্যান্ডের সেট কেনার ইচ্ছা থাকে এবং বাজেট যদি ৩০ হাজারের বেশি না হয় তাহলে আপনার জন্য একটি পরামর্শ: স্যামসাং এর স্মার্টফোন কিনবেন না। স্যামসাং এর স্বল্প দামের স্মার্টফোন ব্যবহার খুবই বিরক্তিকর। তবে ৩০ এর বেশি বাজেট হলে ভাল সেট পাবেন স্যামসাং এর।
এখন বাজেট ৩০ এর কম হলে আপনি কোন ব্র্যান্ডের সেট কিনবেন? আমার পরামর্শ সনি এক্সপেরিয়া’র স্মার্টফোন কেনার (যদি প্রসিদ্ধ ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন চান)। তবে হ্যাঁ, এই দামের ভেতর স্যামসাং এর দুটো সেট বেশ ভাল। গ্যালাক্সি গ্র্যান্ড ২ এবং গ্যালাক্সি মেগা। এছাড়াও কিনতে পারেন গুগলের নেক্সাস ৪ যার মূল্য ২৮,৯০০ টাকা।
আপনার বাজেট যদি ৩০ এর উর্দ্ধে হয় তাহলে কিনতে পারেন আইফোন ৫এস, যার বর্তমান বাজার মূল্য ৫৫,৫০০। অথবা যদি অ্যান্ড্রয়েড ভিত্তিক সেট চান তাহলে সদ্য বাজারে আসা স্যামসাং এর গ্যালাক্সি এস৫। যার মূল্য ৬০,০০০ এবং চাইলে কিনতে পারবেন কিস্তিতে। এছাড়া সনি’র এক্সপেরিয়ার হাই এন্ড সেট পাবেন এই রেঞ্জে। যেগুলো আসলেও বেশ মান সম্পন্ন হ্যান্ড সেট। আরও রয়েছে গুগলের নেক্সাস ৫ যা সত্যিই একটি চমৎকার স্মার্টফোন। এর মূল্য: ৩৪,৫০০
তবে আপনি যদি খুব শক্তিশালী কনফিগারেশন চান এবং বাজেট ৩০ এর বেশি নয় তখন কি করবেন। ওয়ালটনের সদ্য রিলিজ হওয়া প্রিমো জেডএক্স কিনতে পারেন। এই সেটে যে কনফিগারেশন আপনি পাবেন তা স্যামসাং এর গ্যালাক্সি এস৫ এও নেই। দেশি ব্র্যান্ড ওয়ালটনের ফ্ল্যাগশিপ প্রোডাক্ট এটি। এর দাম ৩০,৯৯০ টাকা। বিস্তারিত দেখুন। স্মার্টফোনটি কিস্তিতে পাওয়া যাচ্ছে, তবে কিস্তির শর্তে আমি নিরাশ।
আপনার বাজেট ২০ এর নিচে এবং প্রসিদ্ধ ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন চান? চোখ বন্ধ করে সনি এক্সপেরিয়ার ২০ হাজার টাকা রেঞ্জের যে কোন স্মার্টফোন দেখতে পারেন (অবশ্যই নতুন সেট দেখবেন)। আবারও বলছি, ভুলেও স্যামসাং এর স্বল্প দামের সেট কিনবেন না। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। কেউ যদি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ভিত্তিক স্মার্টফোন চান তাহলে প্রসিদ্ধ ব্র্যান্ড নোকিয়ার স্মার্টফোন কিনতে পারেন। বেশ কয়েকটি সেট রয়েছে নোকিয়ার এই রেঞ্জে। তবে নোকিয়ার সদ্য আসা অ্যান্ড্রয়েড সেট নিতান্তই নোকিয়া ফ্যান না হলে না কেনার পরামর্শ রইল।
যদি ২০ হাজার টাকার ভেতর শক্তিশালী কনফিগারেশন সম্পন্ন সেট চান, তাহলে ওয়ালটনের প্রিমো এস২ চোখ বন্ধ করে কিনে নিন। এর দাম ১৮,৯৯০ টাকা (বিস্তারিত)।
যদি বাজেট ১০ এর ভেতর হয় এবং এই রেঞ্জে বাজারের সেরা সেট চান, তাহলে ওয়ালটনের প্রিমো এফ থ্রি আই (F3i) কিনতে পারেন। এর মূল্য ৮,২৯০ টাকা।
পোস্ট টি উপকারে আসলে জানাবেন। ধন্যবাদ। (1582)