স্পন্সরড এলার্ম


ইলেকট্রনিক শিল্পে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশে। দেশের চাহিদা মিটিয়েও বিশ্বব্যাপী ইলেকট্রনিক পণ্য রফতানির সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় বাজার, পুঁজি, কারিগরি দক্ষতাসহ আনুষঙ্গিক সব সুবিধা এখন দেশে আছে। প্রয়োজন শুধু দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগবান্ধব নীতিমালা।
শিল্প সংশ্লিষ্টদের মতে, বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত অগ্রসরমান প্রযুক্তি এখন মোবাইল এবং ইলেকট্রনিক পণ্য। বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে অগ্রগতির যে জোয়ার বইছে তাতে শামিল হতে হবে বাংলাদেশকেও। বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে আসলে একদিন হয়তো বিশ্বের চাহিদার সিংহভাগ মেটাতে পারবে বাংলাদেশ। ম্যানুফ্যাকচারিং বা উত্পাদনে ব্যাপকভাবে এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে বাংলাদেশের সামনে। এই সুযোগ যথাযথভাবে গ্রহণ করতে পারলে ইলেকট্রনিক শিল্পে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। বিশ্ববাণিজ্যের সিংহভাগ দখল করে নিয়েছে প্রযুক্তি পণ্য। বাণিজ্য আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুও এখন প্রযুক্তিপণ্য। দ্রুত বদলে যাচ্ছে প্রযুক্তির ধরন, বদলে যাচ্ছে পৃথিবী। এক্ষেত্রে আশার খবর হচ্ছে বিশ্বব্যাপী শ্রমের মূল্য বেড়ে যাচ্ছে। সাশ্রয়ী শ্রমের কারণে শ্রমঘন শিল্পে বাংলাদেশের সম্ভাবনা বাড়ছে। কিন্তু শ্রমের সঙ্গে উপযোগী প্রযুক্তির সমন্বয় থাকতে হবে। থাকতে হবে নীতিমালা। যেখানে বিনিয়োগের দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা থাকবে। উদ্যোক্তারা বলেন, বর্তমানে ফিনিশড মোবাইল সেট আমদানিতে শুল্ক দিতে হয় ১২ শতাংশ। অন্যদিকে মোবাইল ফোন তৈরিতে কাঁচামালের ওপর শুল্ক ক্ষেত্রবিশেষে প্রায় ৫৮ শতাংশ। এটা বিদ্যমান থাকলে ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের পরিবর্তে ট্রেডিং করতেই আগ্রহী হবেন ব্যবসায়ীরা। আবার কম্পিউটার রিলেটেড প্রোডাক্টের আমদানি শুল্ক মাত্র ৩ শতাংশ। এ অবস্থায় কাঁচামাল আমদানিতে শুল্কহার শূন্য এবং ভ্যাট প্রত্যাহার না করলে এদেশে এগুলো তৈরিতে কেউ এগিয়ে আসবেন না এবং সেটা হলে আমাদের আমদানির ওপরই নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবে। বাজার, পুঁজি, কারিগরি দক্ষতাসহ আনুষঙ্গিক সব সুবিধা আমাদের রয়েছে। এসব পণ্য তৈরি হলে এর দাম যেমন কমবে, তেমনি রফতানিরও সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে এবং আয় হবে। এ প্রসঙ্গে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (শিল্প গবেষণা) তপন কুমার নাথ বলেন, ইলেকট্রনিক শিল্পের নীতিমালা তৈরির কাজ করছে সরকার। একটি খসড়া তৈরি হয়েছে।
(1615)