স্পন্সরড এলার্ম


গুগল প্রতিনিয়ত আপডেট করা হচ্ছে। ফলে গুগলের পলিসিতেও আসছে নানা রকম পরিবর্তন। আর গুগলের পলিসিবিরোধী যেসব সাইট রয়েছে সেগুলিও গুগলের সার্চ রেজাল্ট হতে হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা সাইটের জন্য বিভিন্ন রকমভাবে এসইও করে থাকি।
তবে এসইও’র কাজের ক্ষেত্রে আমরা কিছু ভুল করে থাকি। আর এগুলি গুগলের পলিসিবিরোধী হয়ে যাওয়ায় সাইটগুলি সার্চ রেজাল্ট থেকে বাতিল হয়ে যেতে পারে। তো আজ আমরা আলোচনা করব এসইও’র এমনই কিছু ভুল নিয়ে যেগুলি এড়িয়ে চললে গুগলের যেকোন আপডেটে আমাদের সাইটগুলি কোন সমস্যায় পড়বে না।
১. নকল কনটেন্ট:
সাইটে নকল কনটেন্ট থাকলে যতই এসইও’র কাজ করা হোকনা কেন গুগলের সার্চ রেজাল্টে কখনই ভাল পজিশনে আসা সম্ভব নয়। কোন ওয়েবসাইটে যদি নকল কনটেন্ট থাকে তাহলে সেটিই ঐ ওয়েবসাইটের জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষতিটি বয়ে আনতে পারে। আর সে ক্ষতিটি আর কিছু নয়; সাইটটি গুগল কতৃক ব্ল্যাক লিস্টেড হয়ে যাওয়া।
২. দূর্বল কনটেন্ট:
কোন ওয়েবসাইটের কনটেন্ট যদি দূর্বল বা লোকোয়ালিটি সম্পন্ন হয় তাহলে সাইটটি কখনই সার্চ রেজাল্টে ভাল অবস্থানে আসবে না। তাছাড়া গত কয়েক বছরে গুগলের যতগুলি আপডেট করা হয়েছে সবগুলিতেই লো কোয়ালিটি কন্টেন্টের সাইটকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে। অন্যান্য সকল আপডেটের ন্যায় গুগল পেঙ্গুইনের আপডেটেও লো কোয়ালিটি কনটেন্টের সাইটকে কঠিনভাবে প্রতিরোধ করা হয়েছে।
৩. মাত্রাতিরিক্ত লিঙ্ক এক্সচেঞ্জ করা
এসইও’র সফলতা অর্জনের ক্ষেত্রে লিঙ্ক এক্সচেঞ্জ বেশ কার্যকরী একটি পন্থা। তবে সেটি হতে হবে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে। খুব বেশি পরিমাণ লিঙ্ক এক্সচেঞ্জ করা হলে সাইটটি গুগলের সার্চ রেজাল্ট হতে বাতিল হয়ে যেতে পারে।
৪. কীওয়ার্ড ডেনসিটি
সাইটের কনটেন্টে যদি কোন কীওয়ার্ড বা নির্দিষ্ট কিছু কীওয়ার্ড মাত্রাতিরিক্তভাবে ব্যবহার করা হয় তবে অযথাই কীওয়ার্ডের ডেনসিটি বাড়ে। আর এটিই কীওয়ার্ড স্টাফিং নামে পরিচিত। আর গুগল এটিকে স্প্যাম হিসাবেই বিবেচনা করে। সুতরাং সাইটে কারণে অকারণে কোন নির্দিষ্ট কীওয়ার্ডের ব্যবহার সাইটকে যেকোন মূহুর্তেই বিপদের মুখে ফেলতে পারে।
৫. একই এ্যাংকর টেক্সট-এর একাধিক ব্যবহার
ওয়েবসাইটের কনটেন্টে যদি একই এ্যাংকর টেক্সট দিয়ে একাধিকবার লিঙ্ক তৈরী করা হয় তবে সেটি গুগলের পলিসি বিরোধী হবে। ধরুন আপনার কীওয়ার্ড যদি Live Cricket হয়, আর যদি সেটি আপনি কনটেন্টে একাধিকবার এঙ্কর টেক্সট হিসাবে ব্যবহার করতে থাকেন তাহলে বুঝে নিন বিপদকে আপনি ঘরে ডেকে আনছেন। সুতরাং ভুলেও কেউ এ কাজটি করবেন না। যদি করেন তবে গুগলের সার্চ রেজাল্ট হতে বিনা নোটিশে আপনার সাইট হাওয়া হয়ে যাবে।
৬. সাইটে ব্রোকেন লিঙ্কস থাকা
যদি এমন হয় যে কোন সাইটে লিঙ্ক দেওয়া আছে কিন্তু লিঙ্কগুলি কাজ করছে না তবে সেটি ব্রোকেন লিঙ্কস হিসাবে বিবেচিত হবে। আর সাইটে এরকম ব্রোকেন লিঙ্কসের আধিক্য থাকলে গুগলের সার্চ রেজাল্টে আপনার সাইটকে খুজে পাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে।
৭. অন্য সাইটের লিঙ্ক না থাকা বা খুব বেশি থাকা
কোন সাইটে অন্য সাইটের লিঙ্ক বা এক্সটার্নাল লিঙ্ক একদমই না থাকা কিংবা খুব বেশি থাকা সাইটটির জন্য ক্ষতিকর।সুতরাং এক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন করাটাই উচিৎ হবে অর্থাৎ সাইটে কিছু এক্সটার্নাল লিঙ্কস রাখা।
৮. একই টাইটেল ও মেটা ডেসক্রিপশন
কোন ওয়েবসাইটের সকল পেজেই যদি একই টাইটেল এবং ডেসক্রিপশন থাকে তবে সেটি গুগলের সার্চ রেজাল্টের তলানিতেই থাকতে হবে। এমনকি সার্চ রেজাল্ট হতে বাতিলও হয়ে যেতে পারে।
৯. হাই পেজ র্যাঙ্ক সাইটে পেইড লিঙ্ক
যেসব সাইটের হাই পেজ র্যাঙ্ক রয়েছে সেসব সাইটে কোন লিঙ্ক দিলে সেটি সহজেই গুগলে ইনডেক্সিং হয়ে যায়। একারণে অনেকেই এসব সাইটকে কিছু পেইড করার মাধ্যমে ব্যাকলিঙ্ক সংগ্রহ করে। কিন্তু এটি গুগলের পলিসির সঙ্গে মানানসই নয়। সুতরাং এ কাজটিও সাইটের জন্য বিপদ ডেকে আানতে পারে।
১০. কন্টেন্টের তুলনায় বিজ্ঞাপনের আধিক্য থাকা
যদি কোন সাইটে কনটেন্টের তুলনায় বিজ্ঞাপনের আধিক্য থাকে তাহলে সেটি সাইটের জন্য ক্ষতিকর হবে। কারন গুগল পান্ডার সাম্প্রতিক আপডেট অনুযায়ী সাইটে এ সমস্যা থাকলে সেটি গুগলের সার্চ রেজাল্ট হতে বাতিল হয়ে যেতে পারে। (1843)