স্পন্সরড এলার্ম


প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহার করতে গিয়ে আমরা অনেকেই ‘কমন সেন্স’ হারিয়ে ফেলি। আমাদের নানা কর্মকাণ্ড অন্যকে বিরক্তির চরম সীমায় নিয়ে যায়, অনেক সময় এগুলো বিপজ্জনকও হয়ে ওঠে। এ ধরনের কিছু বাজে অভ্যাস ও তার প্রতিকার নিয়েই সিনেট অবলম্বনে এ লেখা।
১. আইপ্যাড আপনার ক্যামেরা নয়
অধিকাংশ ট্যাবগুলোতে একটি করে ক্যামেরা থাকে। অনেকেই আইপ্যাড বা এ ধরনের ট্যাবকে ছবি তোলার কাজে ব্যবহার করেন। কিন্তু পাবলিক প্লেসে বা কনসার্টের মতো জায়গায় এ ধরনের কার্যক্রম নিঃসন্দেহে অন্যের দেখার স্থান ব্লক করে। ফলে পেছনের মানুষের অসুবিধা হয়। তাই এ পরিস্থিতিতে আইপ্যাডের ক্যামেরা ব্যবহার না করাই ভালো।
২. আপনার মোবাইলের স্পিকার সবার জন্য নয়
মোবাইলে কারো সঙ্গে আপনার কথাবার্তা আপনার আশপাশের মানুষ শুনতে আগ্রহী নয়, বরং অন্যের বিরক্তি সৃষ্টি করছে এটা। বিশেষ করে প্লেন বা রেস্টুরেন্টে এ আচরণ অন্যের চরম বিরক্তির সৃষ্টি করে। এ কারণে আপনি যদি মোবাইলের স্পিকার অফ করে কানে লাগিয়ে অন্যের সঙ্গে কথা বলেন সেটাই সবচেয়ে ভালো। আর আপনার পছন্দের গান রাস্তাঘাটে অন্যকে শোনানোর কোনো দরকার নেই। নিজে শুনতে চাইলে একটি হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করতে পারেন।
৩. গাড়িচালনার সময় ‘হ্যান্ডস-ফ্রি’ ফোন ধরে থাকা
বেশকিছু দেশেই গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ। তবে কোথাও কোথাও আবার হ্যান্ডস ফ্রি ফোন ব্যবহার করা যায়। ড্রাইভিংয়ের সময় হ্যান্ডস ফ্রি ফোন ব্যবহারের নিয়ম অনেকেরই অজানা। ‘হ্যান্ডস ফ্রি’ ফোন যদি আপনি কানের একটু পাশেই হাতে ধরে রাখেন তাহলে সেটা হ্যান্ডস ফ্রি হবে না। এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও কমবে না। কাজেই গাড়ি চালানোর সময় হ্যান্ডস ফ্রি ফোনে কথা বলতে গেলে সেটা হাত থেকে সরাতে হবে।
৪. হাঁটতে হাঁটতে ফোন ব্যবহার
আপনি যখন যে কাজটা করেন, তখন সেটার প্রতিই মনযোগ দেওয়া প্রয়োজন। অন্যথায় বিপদে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। ২০১১ সালে একটি শপিং মলের সিকিউরিটি ক্যামেরায় দেখা যায় এক নারী হাঁটতে হাঁটতে সোজা ফোয়ারার পানিতে গিয়ে পড়েন। পরে এর কারণ তিনি ব্যাখ্যা করেন। তিনি জানান, মোবাইল ফোনের টেক্সট ম্যাসেজ করতে করতে হাঁটতে গিয়েই এ বিপত্তি ঘটে।
৫. সাউন্ড এফেক্ট বন্ধ করে দিন
সাউন্ড এফেক্ট হল টিভি বা সিনেমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। প্রত্যেক ইমেইল বা ম্যাসেজের মতো ঘটনায় আপনার স্মার্টফোনে একটি করে সাউন্ড করা সত্যিই বিরক্তিকর। স্মার্টফোনে সাউন্ড এফেক্ট ব্যবহার মিটিং বা কাজের সময় আপনার ও আশপাশের মানুষের বিরক্তির কারণ হয়। যদি আপনার প্রচুর ম্যাসেজ বা ইমেইল আসে তাহলে সাউন্ড ইফেক্ট বন্ধ করে রাখাই ভালো।
৬. সামাজিক মিডিয়ার কল্যাণে অসামাজিক
ধরুন বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কোথাও বেড়াতে গিয়েছেন আপনি। কিন্তু বাস্তবে সেখানে থাকলেও অনলাইনের দৌলতে আপনি বিচরণ করছেন ফেসবুক বা টুইটারের মতো সাইটে। অন্যরা অনলাইনে কি মন্তব্য করছে, তার জবাব কিভাবে দেওয়া হচ্ছে কিংবা আপনার ছবিতে কয়টা লাইক পড়ল, এসব বিষয় বাদ দিয়ে বাস্তবে আপনার আশপাশের মানুষকে সময় দেওয়াই ভালো।
৭. পোর্টেট মোডে ভিডিও ধারণ
আপনি কিভাবে ভিডিও ধারণ করছেন তাতে অন্যের কিছু বলার না থাকলেও যখন সেটা ফেসবুকে বা কোনো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিবেন সেটা নিয়ে বলার আছে। আপনার ভিডিও দেখতে গিয়ে যদি অন্যের বিরক্তি হয় তাহলে নিঃসন্দেহে তা আপনার প্রযুক্তিক্ষেত্রে অজ্ঞতার প্রকাশ। এ কারণে ভিডিও ধারণ করার সময় তা সঠিকভাবে করুন, যেন অন্যরা তা দেখে বিরক্ত না হয়। (1605)