স্পন্সরড এলার্ম


অনলাইনে সবার জন্য হ্যাকাররা বিভিন্ন টোপ ফেলে বসে আছে। এসব টোপগিললে আপনার অনলাইনের সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সেসব হ্যাকারদের কাছে চলে যেতে পারে। পুরস্কারের কিংবা বিভিন্ন ফ্রি অফার এর লোভ দেখিয়ে স্পাম মেইল, হ্যাকিংয়ের খুব পুরানো একটি পদ্ধতি।
আসুন জেনে নেই হ্যাকারদের কয়েকটি কৌশল।
নিজের উদাসীনতা
অনেকে নিজেদের সুটকেসের কম্বিনেশন লক নাম্বার কিংবা মোবাইলের লক নাম্বার নিয়ে অনেকে সচেতন, কিন্তু নিজেদের ব্যবহৃত ইমেইল, ফেইসবুকের লগইন সুরক্ষা বিষয়ে উদাসীন। এবং উদাসীনতার কারনে হয়ত পাসওয়ার্ড দিচ্ছে “১২৩৪৫৬” কিংবা নিজের নাম দিয়ে। তাদের এই উদাসীনতা হ্যাকারদের কাজ অনেক সহজ করে দেয়।
অতিরিক্ত কৌতুহলতা
কৌতুহল হচ্ছে মানুষের খুব সাধারণ স্বভাব। কোথাও যদি লেখা থাকে “Don’t Click”, সেখানেই মানুষের ক্লিক বেশি পড়বে। মানুষের এ দুর্বলতাকেই হ্যাকাররা কাজে লাগায়। হ্যাকাররা মানুষের এ কৌতুহলী স্বভাবকে কাজে লাগানোর মত করেই ফাদ পাতে। আর কৌতুহল বশত সেই ধরনের লিংকে ক্লিক করতেই ব্যবহারকারীর গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় তথ্য হ্যাকারদের কাছে চলে যায়। সাধারণত লোভনীয় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তারা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করে।
বিশেষ ছাড়ের অফার
ফ্রি কিংবা বিশেষ ছাড় শুনলে সবারই লোভ বেড়ে যায়। কথায় আছে, মাগনা পেলে আলকাতরাও ভাল। হ্যাকাররা এসব ফ্রি অফারে বিভিন্ন বিখ্যাত কোম্পানীর অফিসিয়াল লোগো ও ইমেইল ঠিকানা ব্যবহার করে সহজেই সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের তাদের পাতা ফাদে পা ফেলতে বাধ্য করে। বাস্তব অভিজ্ঞতার অভাবে অনেক নতুন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এসব ছাড়ের ফাঁদে পড়ে। এবং সাথে সাথে তাদের গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় তথ্য হ্যাকারদের কাছে চলে যায়।
মিষ্টি কথার প্ররোচনা
ইন্টারনেটের কারনে অপরিচিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ খুব সহজ হয়ে গেছে। নতুন নতুন মানুষের সাথে সম্পর্ক তৈরিকে সবাই অনেক ইনজয় করে। হ্যাকাররা এ সুযোগটাকেও কাজে লাগাচ্ছে। সুতরাং, ইমেইল বা চ্যাটরুম সবজায়গার ক্ষেত্রেই সাবধান। অপরিচিতদের সঙ্গে মিষ্টি আলাপে ভুলে গিয়ে, হ্যাকারদের বিভিন্ন কৌশলের কাছে পরাজিত হয়ে নিজের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকে তুলে দিচ্ছে তাদের হাতে।
অতিরিক্ত লোভ
ফ্রি কিছু ডাউনলোডের অফার পেলেও, সেই লিংকে ক্লিক না করে থাকতে পারবেন? হুমম, এখন থেকে পারতে হবে। মনে রাখবেন, ফ্রি ডাউনলোড করতে দেওয়ার পিছনে অবশ্যই কোন একটি উদ্দেশ্য থাকে। বেশিরভাগ সময়, এসব ভুয়া ডাউনলোড লিংকে ক্লিক করে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা নিজেদের অজান্তে হ্যাকারদের পাঠানো ম্যালওয়্যারকে নিজের কম্পিউটারে ছড়িয়ে দেয়। আর এই ম্যালওয়্যার কম্পিউটারের নিরাপত্তার জন্য বড় ধরণের হুমকি। যে পিসিতে ম্যালওয়্যার থাকে, সেই পিসি দ্বারা যে কোন কিছুতেই আপনি লগইন করুন, সাথে সাথে হ্যাকারদের কাছে লগইন তথ্য চলে যায়।
নিজের প্রতি বিশ্বাসের অভাব
নিজেকে অনেক বেশি অজ্ঞ ভেবে বিভিন্ন আইটি সাপোর্টের জন্য হয়ত নিজের পাসওয়ার্ড অন্যের হাতে তুলে দিয়ে সাহায্য চাইছে অনেকে। আর এই সরলতাকে কাজে লাগিয়ে হ্যাকাররা অন্যদের গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় তথ্যকে নিজেদের হাতে নিয়ে আসার চেষ্টা করে। কাউকে নিজের পাসওয়ার্ড জানানো উচিত না।
ইন্টারনেট ব্যবহারে অমনোযোগীতা
খুব কম মানুষই আছেন যারা ই-মেইলে কোন লিংক আসলে তা মনোযোগ সহকারে দেখেন। অযাচিত লিংকে ক্লিক করলেই ম্যালওয়্যার ছড়াতে পারে আপনার পিসিতে। ই-মেইলে নিজের নিরাপত্তার জন্য এসব লিংক চেক করে নিলে ক্ষতিকর প্রোগ্রাম থেকে রক্ষা পাবে আপনার পিসি।
কিছু সচেতনতা
সাইবার সিকিউরিটির জন্য অ্যালেন উডওয়ার্ড দিয়েছেন ৩ পরামর্শ ।
এগুলো হচ্ছে :হ্যাকিং সচেতনতায়
– কোনো বিষয়ে অনুমান করবেন না।
– কাউকে বিশ্বাস করবেন না। এবং
– সবকিছু আগে যাচাই করে নিন
(1877)