স্পন্সরড এলার্ম
- জাকির নায়েক সম্পর্কে ধর্ম বাব্সায়েদের যত অভিযোগ এবং তার সঠিক উত্তর : পর্ব – ৩
- জাকির নায়েক সম্পর্কে ধর্ম বাব্সায়েদের যত অভিযোগ এবং তার সঠিক উত্তর : পর্ব – ৪
- জাকির নায়েক সম্পর্কে ধর্ম বাব্সায়েদের যত অভিযোগ এবং তার সঠিক উত্তর : পর্ব – ৫
- জাকির নায়েক সম্পর্কে ধর্ম বাব্সায়েদের যত অভিযোগ এবং তার সঠিক উত্তর : পর্ব – ২
- জাকির নায়েক সম্পর্কে ধর্ম বাব্সায়েদের যত অভিযোগ এবং তার সঠিক উত্তর : পর্ব – ১
- ডা: জাকির নায়িক- কি একজন ভণ্ড?
- জনপ্রিয় ইসলামিক চিন্তাবিদ ডঃ জাকির নায়িক এর কিছু ইসলামিক বই ডাউনলোড করে নিন ।
- জাকির নায়েক সম্পর্কে ধর্ম বাব্সায়েদের যত অভিযোগ এবং তার সঠিক উত্তর : পর্ব – ৬
- জাকির নায়েক সম্পর্কে ধর্ম বাব্সায়েদের যত অভিযোগ এবং তার সঠিক উত্তর : পর্ব – ৭


ডা. জাকির নায়েকের বিপুল জনপ্রিয়তা, তার মাধ্যমে অসংখ্য অমুসলিমের ইসলাম গ্রহন এবং তার কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে মুসলিম উম্মাহ শুধুমাত্র কুরআন-সহিহ হাদিসের উপর আমল করছে…………… এসকল কারনে এই উপমহাদেশের কিছু সংখ্যক লোকের কাছে তিনি চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছেন। তারা ডা. জাকিরের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এখন প্রশ্ন হল এরা কারা হতে পারে??? আমার মতে তারা হল-
১. ভণ্ড পীর এবং তাদের মুরিদ। (ভণ্ড পীরদের বাবসা টিকিয়ে রাখার জন্য শুধুমাত্র “মুসলিমদের কম জ্ঞান এবং বিভ্রান্তিই” যথেষ্ট।)
২. ক্রিস্টিয়ান এবং ইহুদি। (প্রতি বছরই তাদেরকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দেয়া হয় যেকোনো ভাবে অন্য ধর্ম হতে ফুসলিয়ে ফাঁসলিয়ে নিজ ধর্মে ধর্মান্তরিত করতে।)
৩. নাস্তিকবৃন্দ।
৪. নামসর্বস্ব দেওবন্দি আলেমগণ।
সবচেয়ে মজার ব্যপার হল ডা. জাকির প্রায় প্রতি বছরই মালেসিয়া, সৌদি আরব, কাতার ইত্যাদি দেশে অনুষ্ঠান করলেও ২০০৯ সাল থেকে তার বাংলাদেশে আসার কথা থাকলেও এক শ্রেণির ধর্ম ব্যবসায়িদের কারনে তিনি বাংলাদেশের ভিসা পাচ্ছেন না।
নিচে তার বিরুদ্ধে আনা কয়েকটি অভিযোগের জবাব দেয়া হল।
অভিযোগ ১. আল্লাহকে ব্রাহ্ম-বিষ্ণু প্রভৃতি নামে ডাকা যাবে বলে অভিমত।
ডা. জাকির নায়েক এ বিষয়টা একাধিক আলোচনায় বললেও কখনোই এককথায় বলেননি যে, ‘‘আল্লাহকে ব্রাহ্ম-বিষ্ণু প্রভৃতি নামে ডাকা যাবে।’’ তাই এমনিভাবে এককথায় বললে যে কারো কাছে কথাটা আপত্তিকর মনে হতে পারে। তাছাড়া এটা ‘আল্লাহ’ নামের পরিবর্তে এই নামে ডাকার কথাও বলেননি। তার এই আলোচনাটা প্রায় এক পৃষ্ঠা, সবটা তুলে ধরলে এই লেখাটা অনেক বড় হয়ে যাবে। তার বক্তব্যের সার কথা- যারা সংস্কৃত ভাষায় কথা বলেন তারা শুধুমাত্র শাব্দিক অর্থে ‘ব্রহ্ম’ ( বাংলা-সৃষ্টিকর্তা, আরবী- ‘খালিক’, যা আল্লাহ তায়ালার ৯৯টা গুণবাচক নামের একটি), ‘বিষ্ণু’ ( বাংলা-পালনকর্তা, আরবী- রব, যা আল্লাহ তায়ালার আরেকটি গুণবাচক নাম) বলতে পারবেন। তবে এর বাইরে অন্যকিছু বোঝালে অর্থাৎ দেবতা জাতীয় কিছু মনে করে থাকলে বলা যাবে না। আমি তার এই কথার বিরোধিতা করছি না এই জন্য যে, এটা তো আল্লাহ্র গুণবাচক নামের বাইরে যাচ্ছে না। সংস্কৃত ভাষার মানুষেরা তাদের ভাষায় আল্লাহর গুণবাচক নাম ধরে ডাকতে না পারলে আমরা আমাদের বাংলা ভাষায় আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা এবং পালনকর্তা ডাকি কেন? তিনি আল্লাহকে সুন্দর নামে ডাকার কথা বলেছেন। তবে নিজের ইচ্ছেমত নাম নয়, কুরআনে বর্ণিত আল্লাহর ৯৯টি নামের কথা বলেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন- ‘‘এটা শূন্য থেকে কিছু এনে মানুষের মন ছবিতে বসিয়ে দেয়া নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহর কমপক্ষে ৯৯টি নাম রয়েছে। যেমন: আর-রহমান, আর-রাহিম, আল-জববার, আল কুদ্দুস, আল খায়ের। তিনি ক্ষমাশীল, তিনি পরোপকারী ইত্যাদি। কিন্তু সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এবং নিখুঁত নাম হলো আল্লাহ’’।
(1911)