স্পন্সরড এলার্ম


বিআরটিএ কিংবা বিআরটিসি — বাংলাদেশের কোন অথোরিটির ফেসবুক আইডি খাওয়ার, ব্লক বা ডিসেবল করে দেয়ার ক্ষমতা নাই। যারা ফেসবুকের আভ্যন্তরীণ গঠন সম্মন্ধে বিন্দুমাত্র ধারনা রাখেন, তারা খুব সহযেই বুঝবেন, একটা প্রোফাইল পেইজের আলাদা কোন এক্সিটেন্স নেই। একে তাই নির্দিষ্ট টার্গেটও করা যায় না।
একটা উদাহরণ দেই। কেউ আমার প্রোফাইল দেখার জন্যে ইন্টারনেট ব্রাউজারে http://www.facebook.com/abc লিখে চাপল। নিয়ম অনুযায়ী এই রিকোয়েস্টটা চলে যাবে ফেসবুক সার্ভারে (www.facebook.com)। ফেসবুক সার্ভার থেকে আমার পেইজটা তৎক্ষণাৎ তৈরি করে পাঠানো হয়। সার্ভারে এই টোটাল প্রোগ্রামিংটা করা আছে। অর্থাৎ, আমার প্রোফাইল পেইজের স্থায়ী কোন অস্তিত্ব নেই। টোটাল জিনিসটাই অন রিকোয়েস্ট তৈরি করে দেয়া হয়।
আমাদের প্রোফাইল আইডি মূলত (কয়েকটা ডিজিটের একটা লম্বা নাম্বার), আইডেন্টিফায়ার (abc), আমার সকল পোস্ট, ছবি, নোট, রিলেটেড কমেন্টস ও অন্যান্য তথ্যাদি ফেসবুক ডেটাবেইসে জমা থাকে। আমাদের প্রোফাইল পেইজ তৈরি করার সময় দরকারী তথ্যগুলো বিভিন্ন জায়গা থেকে খুঁজে এনে পেইজে দেখানো হয়। অই পেইজের মধ্যে যেসব লিঙ্ক থাকে সেগুলোতে ক্লিক করলে কী ঘটবে সবকিছুই সার্ভার থেকে বলে দেয়া হয়।
সুতরাং ‘ব্লক’ বলতে বিআরটিএ যা করতে পারে তা হল, সরাসরি টোটাল www.facebook.com সাইটকে (বা ইউআরএল) ইন্টারনেট গেইটওয়েতে বন্ধ করে দেয়া। এরকম তারা একাধিকবার করেছেও। কিন্তু আলাদাভাবে www.facebook.com/abc কে স্থায়ী ভাবে বন্ধ করা অসম্ভব, কারন এটি ডায়নামিক পেইজ (বা ইউআরএল)।
তবে হ্যাঁ — আইডি ডিসেবল করা সম্ভব। সেটা একমাত্র ফেসবুক নিজস্ব অথরিটি করতে পারবে ফেসবুক সার্ভার থেকে।
বিআরটিএ সরাসরি ফেসবুক সার্ভার কোন ভাবেই এক্সেস করতে পারবে না। তারা কেবল ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে যথাযত প্রমাণাদি সহ স্পেসিফিক কারন দেখিয়ে এক বাএকাধিক আইডি বন্ধ করতে অফিসিয়ালি রিকোয়েস্ট করতে পারে, যেমন — অ্যাবিউসিভ কন্টেন্ট, হেইটস্পিচ, ডুপ্লিকেট প্রোফাইল, ইত্যাদি কারনে। অথবা ফেসবুকের দেয়া লিঙ্ক ধরে রিপোর্ট করতে পারে। উল্লেখ্য, রিকোয়েস্ট বা রিপোর্ট — যাই হোক — কোন একটা প্রোফাইল বন্ধ হবে কি হবে না সে সিদ্ধান্ত নেবার এক্তিয়ার শুধুমাত্র ফেসবুক কর্তৃপক্ষের। সিম্পলি রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারনে ফেসবুক কিছুতেই একটি প্রোফাইল ডাউন করে দিবে না।
বলাবাহুল্য, গত জুলাই/অগাস্ট ২০১৩ তে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সম্ভবত ৬০ জন ফেসবুকারের ডেটেইলস (নাম, ঠিকানা, ফ্রেন্ডলিস্ট, ইত্যাদি) চেয়ে অফিসিয়ালি রিকোয়েস্ট করা হয়েছিল; ফেসবুক তাদের তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। একই সময়ে ভারত চেয়েছিল প্রায় ১২০০ ইউজারের বিস্তারিত তথ্য। কিন্তু তাদেরকেও ফেসবুক কাঁচকলা দেখিয়ে দিয়েছে।
****************
গুরুত্ব পূর্ণ তিনটি বিষয়
****************
১) আইপি ব্লক — আইপি ব্লক করে টোটাল ফেসবুক বন্ধ করে দেয়া যাবে। কিন্তু নির্দিষ্ট কোন একাউন্ট বন্ধ করা যাবে না। কারন হচ্ছে ফেইসবুকের আইপি আছে। কিন্তু কোন একাউন্টের পেইজ যেহেতু অন-রিকোয়েস্টে তৈরি হয়, ব্যাবহারকারির কোন আইপি নেই।
২) ★ফেসবুক ইউজার ট্রাকিং — গুরুত্বপূর্ণ!!!!! কোন ফেসবুক একাউন্ট বন্ধ করতে না পারলেও ইউজার যদি বাংলাদেশে থাকেন, বিআরটিএ/RAB/ডিজিএফআই তাকে খুব সহযেই ট্রাক★ করতে পারবে ঠিকই (যথেষ্ট নিরাপত্তা না নিলে)। দুইটা বিষয় সম্পূর্ণ ভিন্ন।
৩) এ্যাকাউন্ট হ্যাঁকিং — এটাও সম্পুর্ণ আলাদা ইস্যু। কেউ যদি আপনার পাসওয়ার্ড জেনে যায়, বা আপনার এ্যাকাউন্টের সিকিউরিটি-জনিত দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে গোটা এ্যাকাউন্টই হ্যাঁক করে ফেলে, তাহলে সে এ্যাকাউন্টে যা ইচ্ছা তা-ই করতে পারবে। অফকোর্স, ডিসেবল্ডও করে দিতে পারে (2126)