স্পন্সরড এলার্ম


আপনি যদি নিয়মিত ফেসবুক ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে সাইটটির ‘ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ব্লক’ ব্যাপারটির সাথে নিশ্চয়ই পরিচিত হবেন। আমি বলছিনা যে আপনি নিজেই কখনও ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ব্লকের শিকার হয়েছেন, তবে ফেসবুকে ‘এড মি’ পার্টিদের কমেন্ট থেকে অন্তত দেখে থাকবেন যে ‘আমাকে অ্যাড করুন, আমি ব্লকড আছি, ৫ সেকেন্ডের মধ্যে অ্যাকসেপ্ট করব’… ইত্যাদি ইত্যাদি।
ফেসবুকের উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনার পরিচিত লোকজন ও বন্ধুবান্ধবের সাথে আপনাকে সবসময় কাছাকাছি রাখা। এজন্য তাদেরকে ‘ফ্রেন্ড’ হিসেবে অ্যাড করতে হয়। কিন্তু কেউ যদি পাইকারি দরে চেনা-অচেনা সবাইকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে থাকে, তাহলে এটি ফেসবুকের টার্মস এন্ড কন্ডিশনের ভায়োলেশন বলে গণ্য হবে এবং কোম্পানিটি বিভিন্ন মেয়াদে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো থেকে উক্ত আইডিকে ব্যান করে দেবে।
তবে একটু কৌশল অবলম্বন করলেই ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ব্লকড হওয়া এড়াতে পারেন। চলুন দেখি সেরকমই কিছু উপায়।
১. ফেসবুকে আইডি দেখলেই সেগুলো অ্যাড করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার সাথে কোনও ‘মিউচুয়াল ফ্রেন্ড’ নেই এমন লোকজন বেশি বেশি অ্যাড করলে ব্যান হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আর আপনার অ্যাড করা কেউ যদি আপনাকে চেনেনা বলে রিপোর্ট করেন তাহলেও আপনি ব্যানড হতে পারেন।
২. অচেনা লোকজনকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারেন, কিন্তু একসাথে অনেকগুলো না পাঠিয়ে কমপক্ষে এক দিন সময় নিন যাতে পূর্বে সেন্ডকৃত রিকোয়েস্টগুলো অ্যাকসেপ্ট হতে পারে এবং পেডিং রিকোয়েস্টের সংখ্যা কম থাকে।
৩. যাদেরকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছেন সেই তালিকায় নিয়মিত চোখ রাখুন।
৪. ফেসবুকে মেসেজ পাঠানোর ক্ষেত্রেও সাবধান হোন। আপনার ‘ফ্রেন্ড’ নয় এমন আইডিসমূহে খুব বেশি পরিমাণ মেসেজ পাঠালে সেগুলো স্প্যাম বলে গণ্য হবে যার ফলস্বরূপ ফ্রেন্ড অ্যাড করার প্রতি নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে ফেসবুক।
৫. ব্যান থাকা অবস্থায় ফ্রেন্ড অ্যাড করার বৃথা চেষ্টা থেকে বিরত থাকুন।
৬. একবার ব্যানড হলে সকল পেন্ডিং ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ক্যানসেল করাই বুদ্ধিমানের কাজ। অবশ্য, পেন্ডিং লিস্টে পরিচিত (যারা অ্যাকসেপ্ট করবে এমন বিশ্বস্ত) কেউ থাকলে তাদেরকে রেখে শুধুমাত্র বাকীগুলোও ক্যানসেল করে দিতে পারেন।
৭. অটোম্যাটিক ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট সেন্ডিং বা এই টাইপের স্ক্রিপ্ট ব্যবহার থেকে বিরত হোন। (1210)