স্পন্সরড এলার্ম


আজকে আমরা আলোচনা করব কিছু ছোট কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা নিয়ে। আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার। কিন্তু ফ্রিল্যান্সার হয়েও কিছু কিছু ছোট বিষয় মাথায় রাখা উচিত। তাই আজকের মূল বিষয় হল: ফ্রিল্যান্সার হয়ে যে ৫টি কাজ আপনি কখনোই করবেন না!
১। তুলনামূলক কম বাজেটে বিড করছেন কি: অনেক ফ্রিল্যান্সারদের কেই দেখেছি যারা, প্রথম দিকে কাজ পাওয়ার জন্য অনেক কম বাজেটে কাজ করতে আগ্রহী থাকেন এবং খুবই অল্প রেটে কাজের বিড করেন। এটি কখনো করবেন, না এতে করে বাজার নষ্ট হয়। মনে রাখবেন, এই নীতি মেনে কাজ পেতে চাইলে আপনি আপনার ন্যায্যমূল্যে হারাবেন। যা ভবিষ্যতে আপনার ঘণ্টাহার বাড়ানোর ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। সো বসেস, বিড করুন কাজ, সময় আর এক্সপার্টাইজের উপর ভিত্তি করে।
২। কমিটমেন্টের ব্যপারে সচেতন না থাকা: ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ারে কমিটমেন্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যপার। যা আপনার প্রফেশনকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাবে। অনেক ক্ষেত্রেই দেশি ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে কমিটমেন্টের অভাব লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু বাহিরের দেশের বায়াররা কমিটমেন্টকে অনেক গুরুত্ব দেয়। মনে রাখবেন পরবর্তিতে কমিটমেন্ট ঠিক না রাখতে পারলে কাজ হারানোর ভয়ও আছে বৈকি। তাই কথার সাথে কাজের মিল রাখতে যত্নবান হোন।
৩। সবসময় হ্যাঁ বলা: বায়ারকে মাঝে মাঝে না বলতে শিখুন। এতে করে তাঁর প্রত্যাশাও কম থাকবে, হারানোর ভয়ও খুব বেশি একটা থাকবে না। আর বদ লোকের পাল্লায় পরলে তো খাটুনিটাই মাটি। সুতরাং এখনি সতর্ক হন।
৪। ফিডব্যাক না নেওয়া: কাজ শেষে অবশ্যই ফিডব্যাক নিতে ভুলবেন না যেনো। ভালো একটা ফিডব্যাক আপনাকে নেক্সট কাজ পাওয়াতে হেল্পফুল হবে। শুধু ফিডব্যাক নয় লক্ষ্য থাকতে হবে ভালো ফিডব্যাক পাওয়া।
৫। পুরাতন বায়ারকে ভুলে গেছেন: বায়ারের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখা এবং নিয়মিত খোঁজ খবর রাখা চৌকস ফ্রিল্যান্সারের লক্ষণ। আপনাকে মনে রাখতে হবে বায়ারের সাথে সুসম্পর্ক রাখতে পারলে সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রজেক্টের কাজ দিয়ে কিংবা অন্যকে আপনার কাছে রেফার করতে পারে তিনি। সুতরাং বায়ারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগের পাশাপাশি সু-সম্পর্ক বজায় রাখুন। কক্ষনো পুরাতন বায়ারকে ভুলে যাবেন না।
আশাকরি, ৫টি টিপস নতুন ফ্রিল্যান্সাররা নিয়মিত মেনে চলবেন। শুভ কামনা রইলো, (1134)