স্পন্সরড এলার্ম



মহাকাশ থেকে যাতে আমাদের এই বাসযোগ্য গ্রহের যে কোনও প্রান্তে অবাধে, অনায়াসে যোগাযোগ রেখে চলা যায় আর সেই ‘পথে’ যাতে আচমকা ঢুকে না পড়তে পারে হ্যাকার, স্প্যামার, ম্যালওয়্যার-লর্ডরা, সেই লক্ষ্যে বিশ্বে এই প্রথম কোনও কোয়ান্টাম উপগ্রহ পাঠানো হল মহাকাশে।
চিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘জিনহুয়া’ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত দেড়টা নাগাদ উত্তর-পশ্চিম চিনের গাংশু প্রদেশের জিউকিয়াং উপগ্রহ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে মহাকাশে পাঠানো হয় ওই ‘কোয়ান্টাম এক্সপেরিমেন্টস অ্যাট স্পেস স্কেল’ বা ‘কোয়েস’ উপগ্রহটিকে। যা মহাকাশে থাকবে টানা দু’টি বছর।
এই দু’বছরে কী কী কাজ করবে ‘কোয়েস’, মহাকাশে?
আরও কিছু
- অন্ধকার বলতে কি কিছু আছে? | বিজ্ঞান কি বলে? জানুন বিস্তারিত
- প্রযুক্তির প্রভাবে বদলে যাবে বিশ্ব | ভার্চুয়াল পৃথিবীতে হবে মানুষের বিচরণ | ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি নিয়ে বিস্তারিত টিউন
- রাস্তায় আর ল্যাম্পপোস্ট থাকবে না? এবার অন্ধকার পথে আলো দেবে গাছ!
মহাকাশ থেকে পাঠাবে আলোর কণা ফোটন। রাজধানী বেজিং থেকে ৭৪৬ মাইল দূরে পশ্চিম চিনের জিনজিয়াঙের উরুমকি পর্যন্ত। যা এক কথায় একটি বিরল ঘটনা। এর আগে এই কোয়ান্টাম যোগাযোগের পরীক্ষাটা পৃথিবীতে করা সম্ভব হয়েছিল সর্বাধিক ৩০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত।
তবে কিছু প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। বেজিং ছাড়া চিনের যে জায়গাটিকে এই প্রকল্পের জন্য ভেবে নেওয়া হয়েছে, সেই জিনজিয়াঙের উরুমকি এলাকাটি দীর্ঘ দিন ধরে ‘কালো তালিকা’য় রয়েছে চিনা প্রশাসনের কাছে। বেজিঙের বক্তব্য, ওই এলাকাটি গত কয়েক দশক ধরেই ইসলামি সন্ত্রাসে দীর্ণ। তাই স্বাভাবিক ভাবেই, এই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে, মহাকাশ থেকে কি কোনও গোপন নজরদারি চালানোর উদ্দেশ্যেই এই উপগ্রহটি পাঠাল চিন?
এ প্রশ্নের জবাব পাওয়ার জন্য হয়তো আরও কিছুটা সময় আমাদের অপেক্ষা করতে হবে!
পূর্বে প্রকাশিতঃ Trickpontbd.com
(1800)