স্পন্সরড এলার্ম


দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তির ক্রমবিকাশ আমাদের জীবনকে করেছে অনেক সহজ। আবার প্রযুক্তি বাছাইয়ে ভুল হলেই বিপত্তি।
আর এই ভুলের কারনে নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয়, তাতে কোন সন্দেহ নেই। এমনই কয়েকটি ভুল আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলঃ
অপারেটিং সিস্টেম বাছাইঃ কম্পিউটার ব্যবহার করা অধিকাংশ ব্যবহারকারীর প্রথম পছন্দ উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম। একটা মজার বিষয় লক্ষ্য করা যাক, উইন্ডোজ এক্সপি ছিল বেশ জনপ্রিয়, ভিস্তা পুরোপুরি ফ্লপ, উইন্ডোজ ৭ আবার জনপ্রিয়তা পেলো কিন্তু সেদিক থেকে উইন্ডোজ ৮ ব্যর্থ। আর সেদিক বিবেচনা করে উইন্ডোজের পরবর্তী অপারেটিং সিস্টেমগুলোর ভবিষ্যৎ অনেকটা আঁচ করে নেওয়া যায়। উইন্ডোজ ভিস্তা কিংবা উইন্ডোজ ৮ ব্যবহার করে অনেকেই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। আর তাই অপারেটিং সিস্টেম বাছাই করার ক্ষেত্রে বেশ কৌশলী হওয়া প্রয়োজন।
স্টোরেজ ডিভাইসে কৃপণতাঃ ফ্ল্যাশ স্টোরেজ ডিভাইস বেশ উচ্চমূল্যের। কিন্তু দামের কথা চিন্তা করে কম ক্ষমতার স্টোরেজ ডিভাইস বেছে নেওয়াটা একটা বড় ধরণের ভুল। কেননা অপারেটিং সিস্টেম অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ কয়েক গিগাবাইট জায়গা নিজের করে নেয় শুধু কিছু অপ্রয়োজনীয় ফাইল জমা করেই। আর স্টোরেজ ডিভাইস পরিবর্তন করাটাও বেশ ঝামেলার ব্যাপার।
স্মার্ট ডিভাইসে ৬৩% এর কম চার্জ নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়াঃ ৬৩% চার্জ বেশ অনেক মনে হতে পারে। কিন্তু বাসা থেকে এই পরিমান কিংবা তাঁর থেকে কম চার্জযুক্ত ডিভাইস নিয়ে বের হলে বিপত্তিতে পড়তে হতে পারে। কারন ওয়াইফাই কিংবা অন্যান্য সার্ভিস ব্যবহারের ফলে চোখের পলকেই শেষ হয়ে যেতে পারে এই পরিমান চার্জ। তাই বের হয়ারভ আগে স্মার্ট ডিভাইস পর্যাপ্ত চার্জ দিয়েই সঙ্গে নেওয়া উচিত।
অ্যান্ড্রয়েডের পুরনো ভার্সনের ডিভাইস কেনাঃ অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের দুইটি ভাগ রয়েছে। এক অংশ তাদের অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন নিয়ে ততটা চিন্তিত নয়। অপর অংশ মূলত পুরনো ভার্সন চালিত অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনে পরবর্তীতে আপডেট পাবার আশায়। এদের চিহ্নিত করা সহজ। কারন তারা অনবরত অ্যান্ড্রয়েডের সর্বশেষ ভার্সনের জন্য হাহাকার করতে থাকে।
ভুল ফরমেটে ফাইল সংরক্ষনঃ ভবিষ্যতের জন্য কোন ফাইল সংরক্ষন করতে চাইলে এমন কোন ফরমেট ব্যবহার করা উচিত যার অস্তিত্ব অনেক বছর পরেও থাকবে।
থ্রিডি টিভির পেছনে টাকা ব্যয়ঃ থ্রিডির দিন শেষ। এখন সময় ৪কে এবং আলট্রা এইচডির। যদিও এটি এখনো ততটা জনপ্রিয়তা পায়নি যতটা পেয়েছে থ্রিডি।
(1975)