স্পন্সরড এলার্ম



নাসা’র ‘Interface Region Imaging Spectrograph’ (IRIS) মহাশূন্যযানকে উৎক্ষেপণ করা হয় বেশ কিছুদিন আগে। এই মহাশূন্যযানকে সূর্যের কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে পরিভ্রমণ করতে পাঠানো হয়েছে। এর মূল কাজ এটা দেখা যে, কিভাবে বিভিন্ন সৌরপদার্থ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় স্থানান্তরিত হয় ও শক্তি সঞ্চয় করে।
এ মিশনের আরেকটি উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমাদের পৃথিবীর নিকটবর্তী নক্ষত্রের জন্ম রহস্য অনুসন্ধান, আর সেখান থেকে উৎসারিত প্রবল মহাজাগতিক বল বা সৌর ঝড় নিয়ে অনুসন্ধান করা। সৌর ঝড়ের কারণে একটি নক্ষত্র থেকে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মতো বিস্ফোরণের মাধ্যমে এর ভেতরের গলিত উত্তপ্ত পদার্থগুলো নিঃসরিত হয়।
সৌরজগতের এ ঘটনাটি ঠিক তখনোই ঘটে যখন সূর্যের বাঁকানো চৌম্বক ক্ষেত্রগুলো একটি আরেকটিকে অতিক্রম করে ও পুনরায় যুক্ত হয়। এর ফলে যে বিস্ফোরণ ঘটে তার শক্তিমত্তা প্রায় কয়েক লকক্ষ হাইড্রোজেন বোমার সমান। এ বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট এক্স-রে ছড়িয়ে পড়ে মহাবিশ্বের সর্বত্র। আর সৃষ্ট এ তেজস্ক্রিয় ঝড়ের ফলে পৃথিবীতে মাঝে মাঝে বেতার সংকেত মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়।

গত জানুয়ারি মাসে বেশ কয়েকটি সৌর ঝড়ের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেছে IRIS মহাশূন্যযান। যেমন জানুয়ারি মাসের ৭ ও ২৮ তারিখে। এর মাঝে ৭ জানুয়ারিতে X1.2 নামের একটি সৌর ঝড়ের কারণে আন্তর্জাতিক মহাশূন্য স্টেশনে মালামাল বোঝাই একটি কার্গো মহাশূন্যযানের যাত্রা বিলম্ব ঘটে।
IRIS মহাশূন্যযান একবারে সূর্যের মাত্র ১ ভাগ অংশের ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে পারে। তবে এটা সূর্যের নিম্নাংশের বায়ুস্তরের বেশ নিখুঁত ছবি পাঠাতে সক্ষম হয়েছে, যে স্তরটি ক্রোমোস্ফিয়ার নামে পরিচিত। বিজ্ঞানীদের মতে, সৌরঝড়ের মাধ্যমে যে পদার্থ ও শক্তি সূর্য থেকে বের হয়, তার নিঃসরণ ঘটে এ ক্রোমোস্ফিয়ার দিয়ে।
IRIS মহাশূন্যযান যে স্পেক্ট্রোগ্রাফ পাঠিয়েছে সেখানে স্পষ্টতই সৌর ঝড়ের সময় সৃষ্ট আলোকে তার বিভিন্ন বর্ণালী দৈর্ঘ্যের ভিত্তিতে ভাগ করা সম্ভব হয়েছে। আর এর ফলে তাপমাত্রা, গতি ও সৌর পদার্থের ঘনত্ব সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যও পাওয়া গিয়েছে। আর এর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা সৌর ঝড়ের উৎপত্তি সংক্রান্ত অনেক অজানা তথ্য জানতে
সূত্রঃ প্রিয় ডট কম (1374)