স্পন্সরড এলার্ম



(১) অভিযান কিংবা অন্তিমযাত্রা
আগে ধারণা করা হত আর্কটিক বা মেরু সাগরের মাঝ দিয়ে নর্থওয়েস্ট প্যাসেজ নামে একটি সমুদ্র পথ বা রুট রয়েছে। আর এ পথের অনুসন্ধানের জন্য অভিযানে নেমেই প্রাণ হারিয়েছেন অনেক অভিযাত্রী। ব্রিটিশ রিয়ার এডমিরার স্যার জন ফ্রাঙ্কলিন ১২৯ টি শক্তিশালী অভিযান পরিচালনা করেন। সময়কাল ১৮৪৫ সাল। ১২৯ টি অভিযানের প্রতিটির অভিযাত্রীর স্কার্ভি (দাঁতের মাড়ির রোগ, ভিটামিন সি এর অভাবে), প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় জমে যাওয়া, খাবারের অভাবসহ প্রচণ্ড কষ্টে ভুগেছেন, যাদের অনেকেই পরে মারা যান। অনেকে সীসার বিষক্রিয়ায় মারা গিয়েছেন, কারণ অভিযাত্রীদের সাথে থাকা খাবারগুলো ক্যানের ভেতরে আবদ্ধ থাকতো। প্রথমদিকের কিছু অভিযাত্রী অভিযানে মারা গেলে তাদেরকে যথযথ মর্যাদায় সমাহিত করা হতো। কিন্তু অভিযানের সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে অভিযানে মৃত অভিযাত্রীর সংখ্যাও বাড়তে থাকে, যাদেরকে সমাহিত করার কেউ ছিল না শুধু তাই নয়, খাবারের তীব্র সংকটের কারণে অন্য জীবিত অভিযাত্রীরা মৃতদেহগুলো ভক্ষণ করতো। যেকারণে পরবর্তীতে বেশিরভাগ দেহ পাওয়া গেলেও তাদের পরিচয় উদ্ধার করা যায় নি।
(২)প্রাচীন রাসায়নিক যুদ্ধ

প্রাচীনকালে যুদ্ধ-বিগ্রহগুলো এখনকার চেয়ে কম ক্ষতিকর ছিল না মোটেও। এ যেমন আজ থেকে প্রায় দু’হাজার বছর আগে ২০ জনের মতো রোমান সেনার অন্তিম পরিণতি হয়েছিল ভয়াবহ। সিরিয়া সেসময় পরাক্রমশালী রোম সাম্রাজ্যের অধীন। এই সিরিয়ারই ডুরা শহরটি অবরুদ্ধ করে রেখেছিল পারস্য সেনারা। অবরোধের এক পর্যায়ে পারস্য সেনারা মাটির নিচে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ডুরা শহরের নগর প্রাচীরের ভেতর ঢুকে গেল। রোমান সেনারা এটা দেখতে পেয়ে নিজেরাও আগে থেকেই তৈরি কর রাখা সুড়ঙ্গের ভেতর দিয়ে এগুতে শুরু করলো। আর এটাই ছিল ফাঁদ। পারস্য সেনারা দ্রুত সুড়ঙ্গ থেকে সরে গেল ও ছড়িয়ে দিল প্রাণঘাতী পেট্রোক্যামিক্যাল বা রাসায়নিক পদার্থ। এর ফলে সুড়ঙ্গে প্রবেশকারী রোমান সেনারা প্রচণ্ড ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে মারা যায়। ১৯২০-৩০ সালের দিকে এ সুড়ঙ্গগুলো আবার খনন করা হয় ও কংকালগুলোকে সমাধিত করা হয়। এখানকার মাটিতে সালফার ও বিটুমিন ক্রিস্টালের উপস্থিতি প্রমাণ করে এগুলো থেকেই সেই প্রাণঘাতী গ্যাস তৈরি করা হয়েছিল।
(৩)নিয়েন্ডারথ্যাল নরখাদক

২০১০ সালে স্পেনের একটি প্রাচীন গুহাতে কিছু প্রাচীন কঙ্কালের সন্ধান মিলে। এরা ছিল নিয়েন্ডারথ্যাল পরিবারভুক্ত। কিন্তু যেটা ছিল আতঙ্ক সৃষ্টিকারী সেটা হচ্ছে, কঙ্কালগুলোর হাড়ের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিল এরা ছিল নরখাদকদের শিকার! প্রায় ৪৩ জাজার বছরের পুরনো কংকালের দেহের বড় হাড়গুলো ভেঙ্গে মজ্জা বের করে ফেলা হয়েছিল, যেগুলো কিনা বেশ পুষ্টিকর! আর এটাও মনে রাখা উচিত নিয়েন্ডারথ্যালরা কিন্তু পুরোপুরি মানুষ ছিল না। হয়তো নিজেরাই নিজেদের মাংস ভক্ষণ করতো তারা!
(৪)খ্যাতিমান ব্যক্তি যখন নরবলির শিকার!

অতি প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন সভ্যতায় নরবলি দেয়ার প্রচলন চলে এসেছে। ২০০৮ এ এরকমই একটি আবিষ্কারের ঘটনা ঘটে যা ছিল যা ছিল বেশ অস্বাভাবিক। অত্যন্ত উদ্ভটভাবে অনেক মানুষ ও প্রাণীর কঙ্কালগুলো সাজিয়ে রাখা হয়েছিল। মানুষের কঙ্কালগুলোর মাথা ছিল না। বিজ্ঞানীর ধারণা, এদের মাঝে একজন ছিলেন মল্লযোদ্ধা। অনুমান করা হয়, প্রাচীন সিরিয়াতে ‘সেলিব্রেটি’ হয়ে গেলে বেশ ভাল ঝামেলাই পোহাতে হত!
সূত্রঃ প্রিয় ডট কম
(1960)