স্পন্সরড এলার্ম


মানুষের জীবনে বন্ধুদের গুরুত্বের কথা বলে বোঝানোর প্রয়োজন হয় না। তবুও বড়রা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে বন্ধু বাছাইয়ে ছোটদের কিছুটা সদুপদেশ দিতে পারেন। প্রযুক্তির যুগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ছড়াছড়িতে এখন বন্ধু বনে যাওয়াটা মাউসে কয়েকটি ক্লিকের ব্যাপার মাত্র।
বৈচিত্র্যময় মানসিকতার মানুষের কতো রকম বন্ধুই না জীবনে আসে। তবে বন্ধুদের থেকে ভালোটুকু পেতে চাইলে কিছু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ দরকার। প্রত্যেকের জীবনে পাঁচ ধরনের বন্ধু থাকা উচিত। আর এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞের মত তুলে ধরেছে হাফিংটন পোস্ট।
১. যে বন্ধু বন্ধুত্ব প্রদর্শনে উদ্যোগী থাকেন
খুব অন্তরঙ্গ দুই বন্ধুর কথা বলি। একজন তার চাকরি, বাসা এবং অন্যান্য কাজ নিয়ে সদাব্যস্ত। কিন্তু এতো ব্যস্ততার মধ্যেও প্রতিদিন এক দুই বার ফোনে বা ই-মেইলে নিদেনপক্ষে ‘হ্যালো’ শব্দটি লিখে পাঠান। এর অর্থ তিনি সব সময় আপনাকে তার বন্ধুত্বের বার্তা পাঠাচ্ছেন। আবার যিনি পাল্টা জবাব পাঠাতে পারছেন না, তার প্রতি ক্ষমাশীল মানসিকতা ধারণ করাও বন্ধুত্বের পরিচায়ক।
২. যে বন্ধু আপনার মঙ্গলে নিজেও সত্যিকার অর্থে খুশী হন
আপনার জীবনে ইতিবাচক কিছু ঘটেছে বা আপনি পেয়েছেন যার কারণে আপনি সত্যিই খুশী। আপনার এ আনন্দে ভালো বন্ধুরা নিখাদ আনন্দ পাবেন এবং সত্যি সত্যিই তারা আপনার সঙ্গে এ খুশী ভাগ করে নিবেন। তারা আপনার আসল শুভাকাঙ্ক্ষী। আপনাকে দেখানোর জন্য বা ভদ্রতা প্রদর্শনের জন্য খুশী হওয়ার আচরণ তারা করেন না।
৩. যে বন্ধু আশাবাদী
আশাবাদী তো অনেকেই। কিন্তু এদের মধ্যে দুটি দল রয়েছে। এক দল সারাক্ষণ তাদের জীবনের নানা জটিলতা নিয়ে কথা বলেন। এর সমাধানের নানা পথ বের করেন, কিন্তু এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে একচুলও এগোন না। এ দলের বিপরীতে যারা আছেন, তারাই হবে আপনার আসল আশাবাদী বন্ধু মহল। এরা সমাধানের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এরা আপনার ক্ষেত্রেও এগিয়ে আসেন। কিন্তু অন্য দলটি নিজের সমস্যা জমিয়ে আপনাকেও সমস্যায় ফেলে দেবেন।
৪. যে বন্ধু যেকোনো কাজে আপনার সঙ্গে যুক্ত থেকে শেষ পর্যন্ত এগোবেন
বন্ধুদের নিয়ে কোনো কাজ করার পরিকল্পনা করলে এবং তাতে এগিয়ে গেলে যে পরিস্থিতিই হোক না কেনো, আপনার সঙ্গে শেষ পর্যন্ত থাকবেন সত্যিকার বন্ধু। এরা মাঝপথে গা বাঁচিয়ে চলা বা উল্টোমুখে হাঁটা শুরু করেন না।
৫. যে বন্ধুরা নির্ভেজাল থাকেন
আপনার কোনো বিষয়ে মন্তব্যের ক্ষেত্রে যারা সত্য প্রকাশে অবিচল থাকেন, তারাই সত্যিকার বন্ধু। তিনি আর যাই হোন, কোনো ভণিতা করেন না। মতামত দেওয়ার সময় ভিতরের সত্যটা তিনি বের করে দেবেন। আপনার লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য যদি তিনি বুঝতে না পারেন, তবে আপনার মতামতকেই সমর্থন দেওয়া চেষ্টা করবেন। এমনকি যদি আপনার মতামত ভুল বলেও মনে হয় তার কাছে, সে ক্ষেত্রে আপনার ভুলটা ধরিয়ে দেবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আপনার চাওয়াটাকে অবশ্যই সমর্থন জানাবেন।
সূত্র : হাফিংটন পোস্ট
(1426)