স্পন্সরড এলার্ম


টেলিযোগাযোগের নেটওয়ার্ক বিশেষ করে বিটিসিএলের আওতাধীন সারা দেশের ল্যান্ডফোনের পুরনো যন্ত্রপাতি ও নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন এবং ইন্টারনেট সুবিধা বাড়ানোর জন্য অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলস নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হচ্ছে। বেসরকারি মোবাইল অপারেটররা সীমাবদ্ধ ব্যান্ড উইথে ডাটা সার্ভিস (ইন্টারনেট) প্রদান করলেও তা ব্যয়বহুল। তাই এই প্রকল্প বাস্তবায়নে এনএসএনভিত্তিক টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক স্থাপনে চীন থেকে ঋণসহায়তা নেয়া হচ্ছে। চীন সরকার থেকে যে ঋণ পাওয়া যাবে সেটা নমনীয় ঋণ হবে বলে পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বেসরকারি টেলি সংস্থাগুলোর সাথে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিযোগিতায় টিকতে হিমশিম খাচ্ছে। আবার বেসরকারি সংস্থাগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে বেশি চার্জও গ্রহণ করছে। তাই এক হাজার ৮৬১ কোটি ১৫ লাখ ৪৮ হাজার টাকা ব্যয়ে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নে এবং ইন্টারনেট সুবিধা বাড়াতে এনএসএনভিত্তিক টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করেছে মন্ত্রণালয়। যার মধ্যে বৈদেশিক খাত থেকে অর্থায়ন ধরা হয়েছে এক হাজার ৪৫৩ কোটি ২১ লাখ ১০ হাজার টাকা। আর এই টাকা চীন সরকার থেকে নেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে দু’দেশের সরকারি দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল ২৩ এপ্রিল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে।
সূত্র জানায়, যেহেতু চীনের সাথে অর্থায়ন চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে এবং ঋণের শর্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি তার আগেই দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি কিভাবে সম্পন্ন হয়। আবার শর্ত ও অন্যান্য বিষয় চূড়ান্ত করার আগেই ২০১৩ সালের ২৩ অক্টোবর অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি বাণিজ্যিক চুক্তির বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে। চীন সরকার তার এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারকে ঋণ দেবে; কিন্তু এর আগে বাংলাদেশ সরকারের সাথে বিটিসিএলের সাবসিডিয়ারি ঋণ পরিশোধের একটি চুক্তি হবে। যেহেতু ঋণের ব্যাপারে সরকারের এখনো কোনো চুক্তি হয়নি। তাই সরকার বিটিসিএলের সাথেও এসএলএ করতে পারছে না।
২০১৭ সালের জুনে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হবে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রথমে দুই লাখ ৫০ হাজার পুরনো সংযোগ এবং পরে ছয় লাখ ৮০ হাজার সংযোগকে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলে নিয়ে আসা হবে। এতে করে কম খরচে গ্রাহক ব্যান্ড উইথে ডাটা সার্ভিস (ইন্টারনেট) পাবে।
(1932)