স্পন্সরড এলার্ম


১৯৩৭ সালের অক্টোবরে নিউইয়র্কের পেটেন্ট অ্যাটর্নি চেস্টার কার্লসন ইলেক্ট্রো ফটোগ্রাফি নামে একটি প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেন। ১৯৩৮ সালে, এর নামকরণ করা হয়েছিল জেরোগ্রাফি এবং প্রথম পরিচিত ফটোকপিটি ছিল “10-22-38 অ্যাস্টোরিয়া”। তবে, ধারণা করা হয় যে প্রথম সত্যিকারের অফিস কপিয়ার তৈরি হয়েছিল ১৯৫৮ সালে যা প্রথম বাণিজ্যিক পুশ বাটন ফটোকপিয়ার মেশিন “৯১৪” নামে প্রচলিত ছিল।
বাজারে অনেক ধরনের কপিয়ার পাওয়া যায়। বাংলাদেশের বাজারে এগুলো ফটোস্ট্যাট মেশিন নামেও পরিচিত। যেসব কোম্পানি কপিয়ার বিক্রি করে তাদের মধ্যে তোশিবার ফটোস্ট্যাট মেশিনর ফটোস্ট্যাট মেশিন সবচেয়ে জনপ্রিয়। এছাড়া অনেক ধরনের কপিয়ার রয়েছে, যেগুলো হল
মনো কপিয়ার
এই কপিরইয়ারগুলো কেবলমাত্র একটি রঙের টোনার ব্যবহার করে কাল প্রিন্ট করে এবং এইগুলি লো-এন্ড, লো ভলিউম থেকে হাই-স্পিড প্রায় প্রতি মিনিটে ১০০ পৃষ্ঠার বেশি ফটোকপি করতে পারে।
রঙিন কপিয়ার
এগুলি কালোর পাশাপাশি রঙ্গিন কপি করতে পারে। কালার কপিয়রাগুলোতে সাধারণত চারটি ড্রাম এবং টোনার কার্তুজ বা আরও চারটির জন্য চারটি প্রাথমিক রঙ থাকে এবং এর মিশ্রণে অন্য সমস্ত রঙ তৈরি করা যায়। তবে এই কপিয়রাগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ অনেক ব্যয়বহুল।
নেটওয়ার্ক কপিয়ার
এই কপিয়ারগুলো অফিসের নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত থাকতে পারে। তাছাড়া ওয়্যারলেস সংযোগের মাধ্যমেও পোর্টেবল ডিভাইসগুলি থেকে কপি করতে পারে।
আধুনিক কপিয়ারগুলোতে জুম-ইন, জুম-আউট এবং বিল্ট-ইন মেমোরি সহ অনেক ধরনের ফিচার রয়েছে।
কপিয়ার এর ভবিষ্যৎ
বর্তমান কপিয়ারগুলোতে উচ্চ মানের স্কেনিং এবং প্রিন্টিং সুবিধা রয়েছে। কপিয়ার সাধারণত অফিসে ব্যাবহার করা হয়। আপনি যদি ব্যাবসা শুরু করতে চান তবে কপিয়ার আপনার প্রয়োজন হতে পারে। বর্তমানে প্রিন্টিং প্রযুক্তির উন্নতির কারনে কপিয়ার এর মূল্য অনেক কমে গেছে। অনেকে এখন কপিয়ার এর পরিবর্তে প্রিন্টার ব্যাবহার করেন। কারন আধুনিক প্রিন্টারগুলোতে কপিয়ারের সব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তবে ব্যাবসায়িদের জন্য কপিয়ার এর কোন বিকল্প নেই। কম মূল্যের কারণে সব ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান এ কপিয়ার এর ব্যাবহার অপরিহার্য। বাংলাদেশের বাজারে সর্বনিম্ন ৪২,০০০ টাকায় কপিয়ার পাওয়া যায়।
কপিয়ার সম্পর্কে আরও কিছু জানতে উইকিপিডিয়া ভিসিট করতে পারেন।
(2821)