স্পন্সরড এলার্ম


বজলুর রশীদ চৌধূরী
স্রষ্টার মহাসৃষ্টি দেখলে অবাক লাগে,
নিজ হাতে বানিয়ে তিনি দিচ্ছেন সবার ভাগে।
মহাবিশ্ব সাজিয়ে রাখছে কত বর্ণের বাগান,
যিনি ইহা দান করেছেন, গাহি তাঁর গান।
মন ক্যামেরায় গৃহবন্দী বিশ্ব-ভূবণ সারা,
নীল আকাশের নীল দরিয়ায় ভাসছে গ্রহ-তারা।
তারায় তারায় আলোর মেলা,- শনি ধুমকেতু,
সপ্তমন্ডল – ধ্র“বতারা – ছায়াপথ – সেতু।
সূর্য শাসক শাসন করে স্ব-আসনে বসি,
সৌর জগৎ সালাম জানায় ধরে ঘৃষ্ট রশি।
ভূবন ভূবন নাহি দর্শন অনন্তকাল ধরে,
মহা শক্তির আদেশ, – ওরা থাকে দূরে দূরে।
সূর্য সম্রাট আরো আছে, বিজ্ঞান পিতার মত্,
ওদের সাথে ঝুলে আছে আরো অনেক জগৎ।
মহাকাশের মহা সূড়ং অতি ভয়ংকর,
স্রষ্টার ঐ কত সৃষ্টি নিমিষে দেয় কবর।
অন্ধকার ঐ মহা গহ্বর এত শক্তি ধরে,
মহাটানে সর্বগ্রাসী খাচ্ছে উদর ভরে।
মূখ-বিবরে টানছে সব, গিল্ছে অবিরাম,
সংকোচনে বিশাল আকাশ,- চলছে ইহার কাম।
উল্কাপিন্ড বেগে চলে,- রেগে থাকে বুঝি !
মহাকালের ভয়াল দিন গনে গনে খুঁজী !
আপন পথে ঘুরছে ওরা নিত্য নিরাকার,
হাসছে কোথাও নীল আকাশ, কোথাও অন্ধকার।
বিশ্ব বিহার করছে ওরা, চলছে দিবারাত,
বাঁধনহারা নয়গো ওরা, সবাই সবার সাথ।
সাগর বিহার করে যাচ্ছে আকাশের ঐ চান,
অমাবশ্যা পূর্ণিমাতে ডাকে ভয়াল বান।
জোয়ার ভাঁটা জলোচ্ছাস আনে কত ক্ষয়,
নবীন প্রবীন কত প্রাণের জন্ম মৃত্যু হয়।
ঝড় ঝন্ঝার আপদ বয়ে বায়ূমন্ডল চলে,
বায়ূদ্বারা বিশ্ব বিজয় বিজ্ঞানী যায় বলে।
আগুন-পানি-বাতাস ভরা বিশ্ব হবে ছাই,
ধ্বংস হবে সর্বভূমি,- থাকবেনাকো ঠাঁই।
সর্বজান্তা বিশ্বপতি মহা শক্তিধর,
সে ভিন্ন কার সাধ্য জানে সব খবর।
লেখক :: মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। (1876)