স্পন্সরড এলার্ম


সূফীরা কখনো নিজেকে জাহির করতেন না। তারা সর্বদা তাদের দান-সদকা, ইবাদত(গোপন ইবাদত যেমন: তাহাজ্জুদ), নেক কাজ সমূহ গোপন রাখতেন। কেননা এতে করে আত্ম অহংকারের সৃষ্টি হয় না। মানুষের মাঝে নিজেকে বড় মনে হয় না এবং অপরের সাথে হিংসা কমে যায়।
ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি মানুষকে শুনানোর জন্য কাজ করে আল্লাহ তার বদলে তাকে (কিয়ামতের দিন) শুনিয়ে দিবেন। আর যে লোক দেখানোর জন্য কাজ করে আল্লাহ তার বদলে তাকে (কিয়ামতের দিন) দেখিয়ে দিবেন।”
[সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৪৯৯, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৯৮৬]
হাদীসে কুদসীতে এসেছে, মহান আল্লাহ বলেন, “আমি অংশীবাদিতা (শিরক) থেকে সকল অংশীদারের তুলনায় বেশি মুখাপেক্ষীহীন। যে কেউ কোনো আমল করে এবং তাতে অন্যকে আমার সাথে শরীক করে, আমি তাকে ও তার আমল উভয়কেই বর্জন করি”।
[সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৯৮৫]
হিংসা আর অহংকারের পরিণামের কথা বলার দরকার নেই। মূলত সূফীগণ সর্বদা তাদের নফস কে দমন করার চেষ্টা করতেন। কেমনা নফস দমন করতে পারলেই সমস্ত প্রকার গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ৩ ধরনের নফসের কথা বলেছেন। নফসের প্রকারভেদ নিয়ে পরের পর্বে আলোচনা হবে ইনশা আল্লাহ 

চলবে……….
ফেইসবুকে আমাদের গ্রুপে জয়েন হতে পারেন। নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য:
https://www.facebook.com/groups/sunnah.jibon
(1481)