স্পন্সরড এলার্ম


এলার্জির কারণে যারা ডিম বা ডিমের তৈরি খাবার এড়িয়ে চলেন তাদের খাবার তালিকায়ও ডিম যোগ হতে পারে বলে জানিয়েছেন একদল মার্কিন গবেষক। ডিম দিয়েই এ এলার্জির চিকিৎসা হবে বলে জানিয়েছেন তারা। যাদের ডিমে এলার্জি আছে এখন তাদের এ রোগটি থেকে দূরে থাকার একমাত্র উপায় আর ডিম বা ডিমজাত খাবার না খাওয়া নয়। ৫৫ জন শিশুর ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গছে, তাদের খাবারে অল্প অল্প করে ডিমের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে অনেকেই এ এলার্জি থেকে মুক্তি পেয়েছে।
তবে চিকিৎসকরা বলেছেন, এ চিকিৎসা এখনো পরীক্ষাধীন এবং বাড়িতে এ চেষ্টা না করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। এলার্জি আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই ডিমে এলার্জির শিকার এবং ধারণা করা হয়, প্রায় ২ দশমিক ৫ শতাংশ শিশু এ রোগে আক্রান্ত। গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে ‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন’ নামক স্বাস্থ্য সাময়িকীতে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১ বছর ১০ মাস ধরে শিশুদের খাবারে প্রতিদিন এক-তৃতীয়াংশ ডিমের সমপরিমাণ ডিমের গুঁড়া মিশানো হয়। এরপর দেখা গেছে, ওই শিশুদের ৭৫ শতাংশ কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই প্রায় ২ টি ডিমের সমপরিমাণ ডিমের গুঁড়া খেতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। এরপর এক মাস বিরতি দিয়ে ওই শিশুদের একটি ডিম খেতে দেওয়ার পর দেখা গেল ২৮ শতাংশ শিশু কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই তা খেতে পারছে, অর্থাৎ তারা এ এলার্জি থেকে মুক্তি পেয়েছে। (1997)