স্পন্সরড এলার্ম


অসহ্য এই গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত সবার। ঘরেই থেকেও রক্ষা নেই, আর বাইরে যারা কাজে যাচ্ছেন, তাঁদের যে কী পরিমাণ কষ্ট, তা আর এখানে বলার কিছু নেই। অনেক শিশু আর বৃদ্ধরা অসুস্থ হয়ে বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে হস্পিটাল এ ভর্তি হচ্ছেন। তবে আমরা যদি কিছু নিয়ম মেনে চলি, তাহলে বোধয় কিছুটা হলেও শান্তি পাবো, ক্ষনিকের জন্যে হলেও কিছুটা স্বস্তি পাবো।
পানি পান করুন প্রচুর পরিমাণে
এই দাবদাহে পানির বিকল্প আর কিছু নেই, পানিই আমাদের প্রধান বন্ধু। প্রচণ্ড গরমে আমাদের শরীর থেকে যে পরিমাণ পানি শুষে নিচ্ছে, তা পুরন হতে পারে বেশী বেশী পানি পান করার মাধ্যমে। এই পানি আপনাকে ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা করবে।
ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার খান
এই সময়ে প্রচুর ফল পাওয়া যাচ্ছে, দেশীয় ফল। সেগুলো জ্যুস করে, ফ্রিজে রেখে দিন। একটু পর পর কাজের ফাঁকে ফাঁকে খেয়ে নিন। শীতল থাকবে শরীর। সুন্দর থাকবে ত্বক, প্রফুল্ল থাকবে মন।
ছাতা ছাড়া বাইরে বের হবেন না
গরম যতই হোক আর রোদ যতই প্রখর হোক, কাজে তো যেতে হবেই। তবে বাইরে যাবার সময় ছাতা টা নিতে ভুলে যাবেন না যেন কিছুতেই। প্রিয় এই বন্ধু টিকে কষ্ট করে হলেও সাথে রাখবেন।
গোসল করুন, ঠাণ্ডা থাকুন
সকালে বাইরে যাবার আগে গোসল তো করবেনই, ঘরে ফিরে এসেও করতে আলসেমি করবেন না। আর যারা ঘরে আছেন তাঁদের তো আরও সুবিধা, গরম অসহ্য গরম লাগা মাত্রই ছুটে যান শাওয়ারের নীচে। ছোট বাচ্চাদের তো বার বার গোসল করানো সম্ভব না, তাই একটি তোয়ালে ভিজিয়ে বার বার ওদের গা মুছিয়ে দিন।
বড় চুল গুলো নাহয় এবার ছোট করেই ফেলুন
অনেক ছেলেরা বড় চুল রাখতে পছন্দ করেন, মাথা ঝাঁকিয়ে, চুল নাড়িয়ে চলা একটা ফ্যাশন তাঁদের কাছে। ভাই এই গরমে ওটা আপাতত না হয় কিছুদিন বন্ধ রাখলেন, একটু চেঞ্জ করে ফেলেন। ছোট করে ফেলেন। আগে তো সুস্থ থাকা, তারপর ফ্যাশন। বাচ্চাদের চুল কেটে দিন। আর মেয়েরা খোপা বা বিনুনি করে আতকে রাখুন, ঘামে যেন চুল গুলো ভিজে আপনার সউন্দর্য নষ্ট করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
গাঢ় রঙের কাপর পরিহার করুন
হালকা রঙের কাপড় সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে, তাই গরমে হালকা রঙের যেমন, সাদা, হালকা গোলাপি, আকাশী রঙের কাপড় পড়ে আরাম পাওয়া যায়। গাঢ় রঙের কাপড় গরমকে আরও তীব্র করে দেবে, তাই গাঢ় রঙএর কাপড় গুলো আলমারিতে তুলে রাখুন ভাঁজ করে।
জানালার পর্দা গুলো ভিজিয়ে দিন
জানালার পর্দা গুলোতে পানি ছিটিয়ে ভিজিয়ে রাখুন, ঘর ঠাণ্ডা থাকবে।
রান্না বান্না’র কাজ গুলো কমিয়ে দিন
যতটা পারা যায় হালকা রান্না করে চালান,মানে চুলার আগুন যত কম সময় জ্বালিয়ে রাখা যায়, আপনার ঘর ততই ঠাণ্ডা থাকবে। আরাম পাবে আপানার পরিবারের সদস্যরা।
গুরুপাক খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন
এই গরমে গরুর মাংস, বিরিয়ানি, কাবাব, রোস্ট এগুলোর কথা ভুলে যান। এগুলো খেয়ে হসপিটালে যাওয়ার চেয়ে না খাওয়াই ভালো।
শীতল পাটি ব্যাবহার করুন
বিছানার তোষক গুলো মনে হয় যেন এক মাত্র রোদ থেকে আনা হয়েছে, এতো গরম হয়ে থাকে। আরাম পাবেন যদি তোষকের উপর একটি শীতল পাটি বিছিয়ে নিতে পারেন।
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
সূত্রঃ জেনেসিস ব্লগ (2076)